আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ইরাকে দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান হয়েছে অবশেষে।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১২টার দিকে দেশটির পার্লামেন্ট নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মোস্তফা আল কাজেমি। তিনি ইরাকের গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান এবং সাংবাদিক।
তবে মন্ত্রিত্ব প্রার্থীদের কয়েকজন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় আপাতত পূর্ণ মন্ত্রিসভা ছাড়াই সরকার গঠন করতে হবে কাজেমিকে।
ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ইরাক এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই গ্রহণ করেছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কাজেমিকে ফোন করে নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ইরাকে গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। গণবিক্ষোভের মধ্যেই চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়াদে দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ তৌফিক আলাউয়িকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় ১৭ মার্চ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান আদনান আল-জুরফি। তিনিও মন্ত্রিসভা গঠন করতে ব্যর্থ হন।
অবশেষে গত ৯ এপ্রিল মোস্তফা আল কাজেমিকে মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় শলাপরামর্শের পর তিনি পার্লামেন্টে মন্ত্রীদের তালিকা পেশ করেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে কাজেমির তালিকায় থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বিদ্যুৎমন্ত্রীও জয়লাভ করেছেন। প্রার্থীদের নিয়ে সমঝোতায় না পৌঁছাতে পারায় তেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ভোটাভুটি বিলম্বিত করা হয়েছে। এছাড়া কাজেমি মনোনীত আইনমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আইনপ্রণেতারা।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর একটি টুইট করেছেন কাজেমি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ইরাকের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিয়ে কাজ করাটাই আমাদের পন্থা।’
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দেবেন বলে জানিয়েছেন কাজেমি। এছাড়া, সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের যারা হত্যা করেছে তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।