আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ভারতে ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া অসহায় অভিবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার খরচ জোগানোর ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। সোমবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৪ মার্চ থেকে ভারতে চলছে কঠোর লকডাউন। এর কারণে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া লাখ লাখ শ্রমিককে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার অনুমতি দিয়ে গত ৩০ এপ্রিল নোটিশ জারি করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসের লক্ষণ পরীক্ষা এবং ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্তে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনাতে বাড়ি ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়। শ্রমিকদের বহনে বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হয়। তবে ট্রেনের টিকিটের দাম এবং শ্রমিকদের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব রাজ্য সরকারের উপর চাপিয়ছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য যে বিশেষ ট্রেনগুলির ব্যবস্থা হয়েছে তার ভাড়া কেন্দ্র বা রেল কেউই দেবে না। শ্রমিকদের কাছ থেকেই তা তুলতে হবে। এবং এই টাকা তুলে রেলের হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্বও রাজ্য সরকারগুলোরই। রাজ্য চাইলে শ্রমিকদের থেকে টাকা নাও নিতে পারে। তবে, টিকিট ছাড়া শ্রমিকরা ট্রেনে উঠতে পারবে না।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে সোমবার বলেন, ‘সরকার যখন এত টাকা খরচ করে ভিনদেশে আটকে থাকা নাগরিকদের ফেরাতে পেরেছে। ১০০ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে গুজরাটের একটা অনুষ্ঠানের জন্য, রেল দফতর প্রধানমন্ত্রীর করোনা তহবিলে ১৫০ কোটি টাকা দান করতে পারছে, অথচ আমাদের দেশের সবচেয়ে জরুরি নাগরিকদের ন্যূনতম সৌজন্য দেখানো হচ্ছে না।’
সোমবার দেওয়া বিবৃতিতে সোনিয়া জানিয়েছেন, অসহায় অভিবাসী শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফেরার ভাড়ার টাকা জোগাবে সেই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। এর জন্য সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হবে না শ্রমিকদের। সোনিয়া বলছেন,’এটা সহ-নাগরিকদের প্রতি কংগ্রেসের কর্তব্য। আমরা ওদের প্রতি সহানুভুতি জানাই। শ্রমিকরাই এই দেশের মেরুদণ্ড। তাদের পরিশ্রম আর আত্মত্যাগই দেশ নির্মাণের ভিত্তি। ১৯৪৭ দেশভাগের পর কোনওদিন শ্রমিকদের এভাবে দুর্দশায় পড়তে হয়নি।’