সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

অস্ট্রেলিয়ায় খাজার বাদ পড়া, খাজার লড়াই

Facebook
Twitter

স্পোর্টস ডেস্ক।।

আগামী ২০২০-২০২১ মৌসুমের জন্য অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ২০ ক্রিকেটারের তালিকায় জায়গা হয়নি উসমান খাজার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তালিকাটি ঘোষণা করেছে ৩০ এপ্রিল, এখনও এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। এটি হয়তো সহজেই থামার নয়।

খাজাকে বাদ দিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যে তালিকাটি করেছে, তাতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটারদের জয়জয়কার। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই হয়তো এই নির্বাচন। এটিও জুগিয়েছে আলোচনার খোরাক- অস্ট্রেলিয়ার মতো দল তাহলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটকেই প্রাধান্য দেবে?

‘উজিকে (উসমান খাজা) বাদ দেওয়াটা আমাদের সবার পক্ষেই খুব কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, সম্ভবত কঠিনতম সিদ্ধান্ত’-ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক মন্ডলীর প্রধান ট্রেভর হনস এমনটা বলেও তাকে বাদ দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখান, ‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সে অনেক ভালো খেলেছে, কিন্তু গত ১২ মাসে ভালো করতে পারেনি।’ যদিও করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল হওয়া জুন মাসের বাংলাদেশ সফরে খুব করে খাজার কথা ভেবে রেখেছিলেন হনস!

অবশ্য পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া এই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান বলতেই পারেন, ‘আমাকে তো নির্বাচকেরা সেভাবে সুযোগই দেননি।’ গত অ্যাশেজের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের মাঝখানে একটি ট্যুর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া একাদশের নেতৃত্ব দিয়েও টেস্টে আর সুযোগ পাননি। আর তার আগে বিশ্বকাপে ভালো করার পরও ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজে নেওয়া হয়নি তাকে।

ওপেনার হিসেবে গড় ৯৬.৮ থাকার পরও ৪৪ টেস্টের বেশিরভাগ সময়েই ব্যাট করতে হয়েছে তিন নম্বরে, যেখানে তার গড় ৩৭.১৯। এমনিতে অবশ্য কোনও মাপেই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে খারাপ বলার উপায় নেই। ৪৪ টেস্টে ৪০.৬৬ গড়ে ২৮৮৭ রান করেছেন, সেঞ্চুরি ৮টি। ৪০টি ওয়ানডে খেলে ২টি সেঞ্চুরি সমেত ৪২ গড়ে করেছেন ১৫৫৪ রান।

কিছু একটা হলেই কোপ পড়ে খাজার ওপর। সবসময় তাকেই দিতে হয় পরীক্ষা। বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। ২০১৪ সালেও একবার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে।

আবার বাদ পড়লেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক এতে বিস্মিত, ‘যার প্রতিভা আছে এবং যে ১০ বছর ধরে রান করে চলেছে, অস্ট্রেলিয়ার সেরা ২০ জনের মধ্যে তার জায়গা হয় না, এটি বিশ্বাস করা কঠিন।’

এর মধ্যে অন্য কিছু নেই তো? শোনা যায়, অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আছে খাজার। সোজা-সাপ্টা কথা বলতে অভ্যস্ত ক্লার্ক সংবাদমাধ্যমে সরাসরি বলেই দিয়েছেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে চাই যে এর মধ্যে ব্যক্তিগত কিছু নেই।’ ল্যাঙ্গারও আবার ক্লার্কের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কিছু কিছু বিষয় নিয়ে খাজার সঙ্গে তার হয়তো মতের ভিন্নতা দেখা দিয়েছে, তাই বলে ক্লার্ক যেন ধরে না নেন খাজার বাদ পড়ার পেছনে এটির হাত আছে।

আরেকটি বিষয় নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে খাজার। তিনি নাকি স্পিন বোলিং ভালো খেলতে পারেন না। খাজার দাবি, স্পিনের বিপক্ষে তিনি দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, ‘স্পিনের বিপক্ষে আমি অবশ্যই ভালো খেলি এবং দেশের অন্যতম সেরা আমি। আমার সামনে একজনই আছে, সে অবশ্যই প্রতিভাবান স্টিভ স্মিথ।’

শনিবার ফক্সস্পোর্টসের কাছে ৩৩ বছর বয়সী খাজা আবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন এবং বলেছেন এবারের ফেরাটা ২০১৪ সালের চেয়ে সহজই হবে। নিজেকে এখনও অস্ট্রেলিয়ার সেরা ছয় ব্যাটসম্যানের একজন মনে করেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার, ‘আমার এই কথাকে ঔদ্বত্য হিসেবে নেবেন না, আমি এখনও মনে করি দেশের সেরা ছয় ব্যাটসম্যানের একজন আমি।’

জনপ্রিয়