স্পোর্টস ডেস্ক।।
কোটি কোটি টাকা খরচ করে ক্যাম্প করতে জাতীয় ফুটবল দলকে বিদেশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। যে টাকায় ফুটবলারদের বিদেশ পাঠানো হয়, সেই অর্থ দিয়ে বাফুফে ভবনেই একটা জিমের ব্যবস্থা করে দিতে পারে ফেডারেশন। কিন্তু পেশাদারিত্বের যুগে ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এখনও অপেশাদার। জাতীয় দলের কোনো ম্যাচ সামনে এলে তাদের পাঠানো হয় বেসরকারি কোনো জিমে কিংবা যে হোটেলে ওঠেন ফুটবলাররা সেখানে।
স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও দেশীয় ফুটবলারদের জন্য নিজস্ব জিমের ব্যবস্থা করতে পারেনি বাফুফে। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকা কোচ জেমি ডে খুব করে চাইছেন আধুনিক মানের ট্রেনিং ব্যবস্থা, ‘শুধু মাঠে নয়, জাতীয় দলের সাফল্য পেতে হলে মাঠের বাইরের কাজও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো মানের ট্রেনিং ব্যবস্থা নেই। যে কারণে কাতার-থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় গিয়ে ক্যাম্প করতে হয়। ফুটবলারদের ফিটনেস লেভেলটা ভালো করতে হলে তাদের প্রয়োজন ভালো ট্রেনিং সুবিধা এবং ট্রেনিংয়ের যন্ত্রপাতি।’
গত নির্বাচনেও কাজী সালাউদ্দিনের প্যানেলের ইশতেহারের একটি ছিল ফুটবলারদের জন্য জিম তৈরি করা। কিন্তু আরেকটি নির্বাচন এলেও চার বছরেও কথাটি রাখতে পারেননি বাফুফে সভাপতি। আর অন্য দেশে গিয়ে ক্যাম্প করাটা অপছন্দ জেমির। জেমি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘কোনো দেশই আন্তর্জাতিক ফুটবলের প্রস্তুতি বাইরের দেশে নিতে চায় না। কারণ সব দেশেই ফুটবল ফ্যাসিলিটিগুলো নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে সেই ফ্যাসিলিটিগুলো থাকলে অন্য দেশে যাওয়ার কথা হয়তো ভাবতে হতো না।’
৮ অক্টোবর সিলেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে জামাল ভূঁইয়াদের বাছাইয়ের মিশন। তার আগে নামতে হবে প্রস্তুতিতে। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জেমির সঙ্গে চুক্তি করেনি বাফুফে। কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। চুক্তি না হলেও ফুটবলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন জেমি, ‘চুক্তি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়ে যাবে। ফুটবলারদের সঙ্গে কাজ করতে আমি মুখিয়ে আছি।’