বিনোদন ডেস্ক।।
রুপালি পর্দার আলো ছুঁয়ে ফেলে রাণাঘাট স্টেশনের রাণু মন্ডলকে, রিয়্যালিটি শো-তে যান। সেখানে নজরে পড়েন হিমেশের। এরপর রাণাঘাট থেকে পাড়ি দেন মুম্বইয়ে। তাঁর এই যাত্রায় সবসময় সঙ্গে ছিলেন স্টেশনের ওই অপরিচিত যুবক অতীন্দ্র। এরপর হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে একটি গান রেকর্ড করেন তিনি। সেই “তেরি মেরি কাহানি” গানটিও হিট করে। এরপর নিজের নানা মন্তব্যে বারবার সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল হন রাণু। রাতারাতি যে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন ধীরে ধীরে কোথাও যেন তা ম্লান হয়ে যায়। মাস দুয়েক আগে শোনা যায়, মুম্বই থেকে কোনও এক অনুষ্ঠানের জন্য কেরালা গিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর কোনও খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি।
লকডাউন-কোরোনা সংক্রমণের ভিড়ে হারিয়ে যায় রাণু প্রসঙ্গ। এর মাঝেই খবর পাওয়া যায়, কেরালা থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখন একপ্রকার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। কখনও সবজি সিদ্ধ, কখনও বা মুড়ি খেয়ে খিদে মেটাচ্ছেন।
রাণু মণ্ডল বলেন, “কেরালা থেকে বাড়ি ফেরার পর টানা পাঁচদিন প্রায় না খেয়েই কাটাতে হয়েছে। কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। এখনও ঠিকমতো খাবার পাই না। কোনওদিন ভাত জোটে। কোনওদিন জোটে না। মুড়ি কিংবা কোনও সবজি সিদ্ধ করে, তা খেয়েই থাকতে হয়। মাঝেমধ্যে কেউ এসে একটু চাল-ডাল সাহায্য করে যায়।”
আজকাল আর রাণুর বাড়িতে কেউ ভিড় জমায় না । মাঝেসাঝে দু-একজন আসেন । তবে, আগের মতো আর কিছু নেই । বলছেন রাণুর প্রতিবেশী ।কেমন আছেন রাণু মণ্ডলমুহূর্তেই অনেককিছু পেয়ে বদলে গেছিল তাঁর জীবন । আজ কোথাও যেন আবার সেই পুরোনো দিনগুলো ফিরে এসেছে । জীবন বোধহয় এরকমই কিছু । তাই সেদিন স্টেশনের ভাইরাল হওয়া গান আজও অবলীলায় গেয়ে চলেছেন তিনি- “কুছ খো কর পানা হ্য়ায়, কুছ পা কর খোনা হ্যায়, জীবনকা মতলব তো আনা অর যানা হ্যায় ।” সূত্রঃ ইটিভি ভারত