আমতলী প্রতিনিধি।।
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা টি, এম, রেদওয়ান বায়েজীদ অনার্স মাস্টার্স, চ্যার্টাড একাউন্টেট সিসি শেষ করে প্রায় ২ বছর প্রাইভেট চাকুরী করেন। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখে প্রাইভেট চাকুরী ছেড়ে দেন। দাদা-বাবার জমি বিক্রি করে নিজ উদ্যোগে বেকার ও সরকারি মৎস কার্ড দারী জেলেদের নিয়ে গড়ে তোলেন কয়েকটি মাছের হ্যাচারী যাতে চাষ করতেন চিংড়ি, শিংক, মাগুর, কৈ, গুলিশা, রুই, কাতল সহ বিভিন্ন মাছ। ঘূর্নিঝড় আম্পানের কারনে বায়েজীদের মাছের হ্যাচারী প্লাবিত হয়ে সমস্ত মাছ বিভিন্ন খালে বিলে চলে যায়। সব মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন এই তরুন উদ্যোক্তা।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা যায় বায়েজীদ এর মাছের ঘেড়ে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মাছ ছিল। তবে বন্যা না হলে সফল হতেন এই তরুন উদ্যোক্তা। টি, এম, রেদওয়ান বায়েজীদ বলেন, আমরা শহীদ পরিবার এবং বংশানুক্রমে আওয়ামীলীগ। বিএনপি- জামাত সরকার আমলে আমি আমতলী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দ্প্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি এবং সরকারি তিতুমীর কলজে অনার্স মাস্টার্স অধ্যায়নরত অবস্তায় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শ্রমিক লীগ আমতলী পৌরসভা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে তাই কোন প্রকার চাঁদা বাজি করি না। মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর কাছে আকুল আবেদন যাতে আমাকে আর্থিক সাহায্য করেন।
সুশীল সমাজের একাধিক লোকজন বলেন, আম্পানে মাচের হ্যাচারী প্লাবিত না হলে উচ্চ শিক্ষিত বায়েজীদ উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতেন এবং অনেক বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হত।