সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

আমতলীতে ছেলের মা হলেন ‘ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী’

Facebook
Twitter

সাফায়েত আল মামুন, আমতলী।।

বরগুনার আমতলীতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক শারিরীক প্রতিবন্ধী মহিলাকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আল আমিন হাওলাদার (৩৫) বিরুদ্ধে। সোমবার (০৮ জুন) সন্ধ্যায় ধর্ষণের স্বীকার হওয়া ওই অন্তঃস্বত্ত্বা শারিরীক প্রতিবন্ধী নারী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই শারিরীক প্রতিবন্ধী মহিলা ১০/১১ বছর বয়সের সময় অসুস্থ হয়ে শরীরের বাম পাশ অকার্যকর হয়ে যায়। সেই থেকে তিনি পঙ্গু জীবন যাপন করে আসছে। ওই নারীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী মহিষডাঙ্গা গ্রামে তার নানা বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই সে একা একা নানা বাড়িতে বসবাসরত মামাতো বোন আমেনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন। এ সময় আমতলী সদর ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রামের আ. মজিদ হাওলাদারের পুত্র মো. আল আমিন হাওলাদার তাকে বেশ কয়েকবার কুপ্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে আল আমিন।

ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী সন্তানসম্ভাবা হলে সবাই বিষয়টি জানতে পারে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি অভিযুক্তকে ডেকে ফয়সালা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু ফয়সালা না হওয়ায় গত ১ মে অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদারসহ দুজনকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এদিকে থানা ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে প্রাথমিক তদন্ত করার জন্য আমতলী থানার সাব ইন্সেপেক্টর শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধর্ষণের শিকার হয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধী নারী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বর্তমানে মা পুত্র দুজনেই সুস্থ আছেন বলে জানান সেবিকা রাবেয়া বেগম।

ধর্ষিতা বলেন, আমার চাচাতো মামাতো ভাই আল আমিন আমাকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে নানা বাড়ির পশ্চিম সীমানায় বাগানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ধর্ষক মামাতো ভাই আল আমিন হাওলাদার ধর্ষণের বিষয়টি কারো কাছে বললে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই এতদিন আমি ভয়ে কাউকে ধষর্ণের বিষয়ে কিছু বলিনি। আমি আমার পুত্রের পিতৃ পরিচয়ের দাবী জানাচ্ছি।

থানায় অভিযোগ দাখিল করা প্রতিবন্ধী নারীর বোন জানান, হঠাৎ অন্তঃস্বত্ত্বার লক্ষণ দেখে আমতলী গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানতে পারি আমার বোন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর ভিকটিম বোন ধর্ষণের বিষয়টি আমাদের খুলে বলে

অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, আমার ফুপুদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৯ সালে আদালতে বিরোধীয় জমির রায় আমাদের পক্ষে আসায় ও সেই জমি দখলে নেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ধর্ষণের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, শুনেছি গতকাল সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হওয়া শারিরীক প্রতিবন্ধী ওই মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরী একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। গতমাসে তার বোন বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছিল। যেহেতু ধর্ষণের ঘটনাটি অনেক পুরানো তাই সত্যতা যাচাইয়ে প্রাথমিক তদন্ত করার জন্য সাব ইন্সেপেক্টর শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয়