শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
আমতলী প্রতিনিধি।।
বরগুনার আমতলীতে অপহরণের পর গণধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে (১৪) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাসেদুল হাসান (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) আমতলী পৌরসভার চৌরাস্তা থেকে রাসেদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার চায়না এরিয়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তাকে আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্কুলেরই্ একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য যায়। দুপুরে স্কুলের পাশে নাসিমা বেগম নামে তার এক তার খালার বাড়িতে যায় সে।সেখান থেকে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের শাহ আলমের ছেলে শাকিলের (২০) নেতৃত্বে সাগর (৩২) ও রাশেদুল (২৫) দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে রাস্তায় তার গতিরোধ করে। পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ কিশোরীর মা বাদী হয়ে শাকিল, সাগর ও রাশেদুলের নাম উল্লেখ করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।এরপর গত ১ এপ্রিল আমতলী থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার চায়না এরিয়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার মূল আসামি শাকিলসহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেছে। তবে এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে বিষয়টি প্রেমঘটিত।
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। রোববার ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হবে।