স্পোর্টস ডেস্ক।।
করোনাভাইরাস মহামারির রেশ এখনও কেটে যায়নি ইংল্যান্ড থেকে। দেশটিতে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এখনও দেশটিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। মৃত্যুও বরণ করছে।
এরই মধ্যে সিরিজ খেলার জন্য ইংল্যান্ড গিয়ে পৌঁছে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। করোনার মধ্যেই সর্বপ্রথম ক্রিকেট ফিরছে ইংল্যান্ডে। সেই ফেরার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দিয়ে।
তবে, সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টস দাবি করছেন, টাকার লোভ দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে গিনিপিগ বানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত: কিছুদিন আগেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ২৫ কোটি টাকা) ধার দিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। অ্যান্ডি রবার্টস দাবি করছেন, সেই টাকার কারণেই করোনা মহামারির মধ্যেও ক্রিকেট খেলতে গেলো ক্যারিবীয়রা।
তবে, অ্যান্ডি রবার্টসের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান রিকি স্কেরিট। তিনি বলছেন, ‘আমাদের গিনিপিগ বানানো হয়নি। ৩০ লাখ ডলার শুধুই ধার। এগুলো দিয়ে আমাদের ইংল্যান্ড সফরের শর্ত দেয়া হয়নি। আমরা এমন শর্ত মেনে ইংল্যান্ড সফরে যাইনি।’
আগামী মাসেই ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজ দিয়েই করোনা পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে ফিরবে ক্রিকেট। এই সিরিজ খেলার জন্য ৮ই জুন ইংল্যান্ড পৌঁছে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। তবে, সিরিজ মাঠে গড়ানোর বিষয়ে এখনও বৃটিশ সরকারের অনুমতি পায়নি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, বায়ো-সিকিউর পরিবেশে ম্যাচ আয়োজন করা হবে। খুব দ্রুতই ব্রিটিশ সরকার এ বিষয়ে অনুমতি দিয়ে দেবে, আশা করা হচ্ছে।
ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান স্কেরিট বলেন, ‘ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড থেকে যে লোন নেয়া হয়েছে, সেটাতে ক্রিকেটারদের সে দেশে পাঠানোর কোনো শর্ত ছিল না।’ ইসিবির এই লোন আবার আইসিসিও তদন্ত করে দেখছে।
ইংল্যান্ডে দল পাঠানো নিয়ে স্কেরিট বলেন, ‘এটা ছিল, ইসিবি আমাদেরকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে সিরিজ যখন অনুষ্ঠিত হবে কিংবা আমাদের দল যখন তাদের দেশে সফরে যাবে, তখন ক্রিকেটারদের সব ধরনের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা দেয়া হবে। এই নিশ্চয়তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা আমাদের দলকে ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছি।’
‘আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অর্থ কোনো প্রভাব ফেলেনি। টাকা নিয়ে এ ধরনের সিরিজ নিশ্চিত করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কাজ নয়।’