ইন্দুরকানী প্রতিনিধি।।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে নির্মল চন্দ্র দাস নামে এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তার গত কয়েক দিন ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশি ছিল। বুধবার (১০ জুন) রাত ১২টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ওই পল্লী চিকিৎসক বেশ কয়েকদিন ধরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই নিজস্ব ব্যবস্থায় ওষুধ খেয়েছেন। বুধবার রাতে হঠাৎ করে বাড়িতে বসে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ইন্দুরকানী বাজারে তার একটি ঔষধের ফার্মেসী ছিল। দীর্ঘদিন দিন ধরে তিনি এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত। তবে এলাকায় তিনি সবার কাছে একজন জনপ্রিয় পল্লী চিকিৎসক নির্মলদা নামে পরিচিত। করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা যাওয়ায় ইন্দুরকানী বাজারের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
ইন্দুরকানী বাজার ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ জানান, সর্দি, জ্বরও শ্বাসকষ্টে নির্মল ডাক্তার প্রায় দশ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার ছেলে ও পুত্রবধুও সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে তার নমুনা রেখেছে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানা যাবে।
তবে আগামীকাল শুক্রবার (১২ জুন) তার ছেলে ও পুত্রবধুর নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মাদ আল মুজাহিদ জানান, ওই পল্লী চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন ছাড়া তা বলা যাবে না। এছাড়া মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ যারা তার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
এদিকে, করোনা উপসর্গে নিয়ে মারা যাওয়া পল্লী চিকিৎসকের ধারে কাছে যাননি স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্বজনদের অনেকেই। যার কারনে অন্যত্র লোক এনে গ্রামের বাড়ি সেউতিবাড়িয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ওই চিকিৎসকের মরদেহ দাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।