ইবি প্রতিনিধি।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) র্যাগিংয়ের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ র্যাগিংয়ের সত্যতা পাওয়া যায়। উভয় কমিটি অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
জানা যায়, ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ। পরে দুই কমিটি কয়েক দফায় ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি ১৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী মুদাচ্ছির খান কাফি ও মোহাম্মদ সাগরের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।
এই দুজন ছাড়াও অপর একজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছে উভয় কমিটি। এছাড়া বাকিদের সংশ্লিষ্টতা কম থাকায় তাদেরকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, তিনজনের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারের বাইরে হওয়ায় আমরা কর্তৃপক্ষ বরাবর সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছি।
প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি৷
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা।