আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ইরানে ১৪ বছরের এক কন্যাশিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার বাবা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভালোবাসার মানুষকে পালিয়ে বিয়ে করার কারণে গত ২১ মে নিজ সন্তান রমিনা আশরাফির শিরশ্ছেদ করেছে তার বাবা রেজা আশরাফি। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে পুরো ইরানজুড়ে।
উল্লেখ্য, ইরানের আইন অনুযায়ী ১৩ বয়সে মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়।
রমিনার বাড়ি তেহরান থেকে প্রায় ৩২১ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমের কাউন্টি তালেশের শহরে। ৩৪ বছর বয়সী এক তরুণকে ভালোবাসতো সে। তবে পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিতে সম্মত না হওয়ায় মে মাসের মাঝামাঝি সেই ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যায় রমিনা। ৫ দিনের মাথায় তার সন্ধান মেলে।
পুলিশ রমিনাকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয়; যদিও সে বারবার তাকে বাড়ি না পাঠানোর আকুতি জানায়। বাড়িতে গেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রমিনা। কিন্তু তার অনুরোধে সাড়া দেয়নি পুলিশ। ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে জানিয়েই বাবা রেজা আশরাফি তাকে গ্রহণ করে।
২১ মে রমিনা যখন তার কক্ষে ঘুমচ্ছিল, বাবা একটি কাস্তে নিয়ে ঢুকে পড়ে এবং আঘাত করে তার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ ঘটনায় ঘাতক বাবা অপরাধ স্বীকার করেছে এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
ইরানের আইন অনুযায়ী, কথিত অনার কিলিংয়ে বা কোনও ব্যক্তি যদি তার মেয়েকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাকে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়ার নিয়ম রয়েছে সেখানে। সূত্র-সিএনএন, গার্ডিয়ান।