শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক।।
ওয়্যারলেস ইয়ারফোন বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। সব বয়সী মানুষের কাছেই তার যুক্ত ইয়ারফোনের চেয়ে ওয়্যারলেস ইয়ারফোন বেশি পছন্দ। এর বেশ কয়েকটি কারণ আছে। এই ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডগুলো যেমন ফ্যাশনের অংশ হয়েছে তেমনি বহন করা খুবই সহজ।
বিভিন্ন নামিদামি সংস্থার পাশাপাশি নতুন অনেক সংস্থাও আনছে ওয়্যারলেস ইয়ারফোন। এমনকি অনেক স্মার্টফোনের সঙ্গেও এখন ওয়্যারলেস ইয়ারফোন দেওয়া হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ইয়ারবাড ব্যবহারে কানের নানান ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ওয়্যারলেস ইয়ারবাড তারযুক্ত ইয়ারফোনের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। ওয়্যারলেস ইয়ারবাডগুলো থেকে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) বিকিরণ নির্গত হতে পারে, যা ক্যানসারের বর্ধিত ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত।
এছাড়া একটানা ৮-১০ ইয়ারবাড ব্যবহারের ফলে কানে গুরুতর সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে কানে আটকে থাকা আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের ফলে কোনও ব্যক্তি তার শ্রবণশক্তি পর্যন্ত হারাতে পারেন। টানা ইয়ারবাড ব্যবহারের ফলে কানে চুলকানি, ব্যথা, রিনরিন শব্দ, মাথার যন্ত্রণা এমনকি, অস্থিরতা পর্যন্ত হতে পারে।
ইয়ারফোনের মাধ্যমে উচ্চস্বরে বাজানো মিউজিক কানের কোষের ক্ষতি করতে পারে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো এই কোষগুলোর পুনর্জন্মের ক্ষমতা নেই। একবার কোষগুলোর ক্ষতি হয়ে গেলে, তা আর ঠিক করা যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, প্রায় ১.১ বিলিয়ন তরুণদের উচ্চ শব্দের এক্সপোজারের কারণে ভবিষ্যতে শ্রবণশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি রয়েছে।
এমনকি ওয়্যারলেস ইয়ারবাডগুলো সহজেই কান থেকে পড়ে যেতে পারে এবং হারিয়ে যেতে পারে। ওয়্যারলেস ইয়ারবাডের তুলনায় তারযুক্ত ইয়ারফোনগুলোর কানের বাইরে পড়ার সম্ভাবনা কম এবং তারা আরএফ বিকিরণ নির্গত করে না। ফলে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে।
একটানা ৩০ মিনিট পর ৫ মিনিট এবং ৬০ মিনিট ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন ব্যবহারের পর ১০ মিনিটের একটি বিরতি নিন। এছাড়াও ইয়ারবাডে কম ভলিউমে গান শুনুন। নিয়মিত আপনার ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডটি পরিষ্কার করুন। কান পরিষ্কার রাখুন। নিয়মিত স্যানিটাইজ করে জীবাণুমুক্ত রাখুন। অন্যের ব্যবহার করা ইয়ারফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহার করবেন না।
সূত্র-টাইমস অব ইন্ডিয়া।