আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভুল অনুমানের কথা প্রকাশ করায় ক্ষমা চেয়েছেন সেদেশের পক্ষত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাওয়া দুই বিশিষ্ট ব্যক্তি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের একজন হলেন সাবেক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক থায়ে ইয়ং হো এবং অপরজন জি সিয়োং হো। তাদের একজন বলেছিলেন কিম অনেক বেশি অসুস্থ আর অপরজন বলেছিলেন তিনি মারা গেছেন। তবে তাদের সেসব ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে শনিবার (০২ মে) এক অনুষ্ঠানে হাজির হন কিম। তাকে তখন বেশ প্রাণবন্তভাবেই হাঁটতে দেখা গেছে।
থায়ে ইয়ং হো একসময় ব্রিটেনে উত্তর কোরিয়ার উপ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে উত্তর কোরিয়ার পক্ষত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যান তিনি। গত মাসে যে দুই উত্তর কোরীয় পক্ষত্যাগী দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরই একজন ইয়ং হো। আর অপরজন জি সিয়োং হো।
তিন সপ্তাহ ধরে কিম রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে উপস্থিত না হওয়ায় হো বলেছিলেন, উত্তর কোরীয় নেতা সম্ভবত এতটাই অসুস্থ যে দাঁড়াতেও পারছেন না। সোমবার (০৪ মে) এক বিবৃতিতে এ দাবির জন্য ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি আমাকে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা হিসেবে আপনাদের ভোট দেওয়ার একটি কারণ ছিল, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে যথাযথ বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস আশা করেছিলেন আপনারা। আমি দোষ করেছি, এবং এর পেছনে আমার অনেক দায় আছে। কারণ যাই হোক না কেন, আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।’
আরেক পক্ষত্যাগী জি সিয়োং হো্ ও দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছেন। কিমের অনুপস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জি সিয়োং বলেছিলেন তিনি ৯৯ ভাগ নিশ্চিত যে কার্ডিওভাস্কুলার সার্জারির পর উত্তর কোরীয় নেতা মারা গেছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে তার কাছে তথ্য আছে বলে দাবি করেন। জানান, শিগগিরই সরকারি ঘোষণা আসবে। সোমবার এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমি নিজে নিজে ভেবেছি এবং অনুভব করেছি কত ভারি একটা পদে আমি আছি। জন প্রতিনিধি হিসেবে সামনের দিনগুলোতে আমি সতর্ক থাকব।’