লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
গ্যাস্ট্রিক এমন একটি সমস্যা যা যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে। এতে পেটে গ্যাস জমে অস্বস্তি হতে পারে এবং বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর কারণ অনেকগুলো হতে পারে। তবে সবচেয়ে পরিচিত কারণগুলো হলো দীর্ঘ সময় বিরতি দিয়ে খাবার খাওয়া, নিয়মিত ভাজাভুজি বা মশলাদার খাবার খাওয়া এবং চা বা কফি খুব বেশি খাওয়া। কিছু খাবার যেমন এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, তেমনি কিছু খাবার আবার এই সমস্যাকে কমিয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক কী খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে-
কলা: কলা সম্ভবত সেরা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা গ্যাস্ট্রিক থেকে রক্ষা করে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা প্রতিদিন একটি করে খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় । যদি আপনার দীর্ঘ বিরতি দিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে এর মাঝে কলা খেয়ে নিন। এটি আপনাকে গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে রক্ষা করবে। ক্ষুধা অনুভব করছেন কিন্তু খাবার খাওয়ার সময় নেই, এমন অবস্থায় ঝটপট একটি কলা খেয়ে নিন।
তুলসি পাতা: গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য তুলসি পাতা বেশ কার্যকরী। কয়েকটি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন বা এককাপ পানিতে ২-৩ টি তুলসি পাতা কয়েক মিনিট সেদ্ধ করুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে এটি পান করতে পারেন।
বাটারমিল্ক: বাটারমিল্কে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সহায়তা করে। ভারী বা মশলাদার খাবার খাওয়ার পরে একগ্লাস বাটারমিল্ক খান এবং সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য এতে কালো মরিচ বা জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। স্বাদের জন্য কারি পাতা যোগ করতে পারেন।
ডাবের পানি: ডাবের পানি অ্যাসিড উৎপাদনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে আপনা পেটকে রক্ষা করে। তাই গ্যাস্ট্রিক এড়াতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন।
ঠান্ডা দুধ: ঠান্ডা দুধ পান করলে তা পেটে গ্যাস্ট্রিক রস স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। যেহেতু এটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ তাই এটি পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি রোধ করে। অ্যাসিডিটির সমস্যায় এটি অন্যতম সহজ প্রতিকার। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে একগ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন।
এলাচ: এলাচ হজমশক্তি বাড়ায়। এটি পেটে উৎপাদিত অতিরিক্ত অ্যাসিডের খারাপ প্রভাব থেকে রেহাই পেতে সহায়তা করে। আপনি যখনই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনুভব করবেন তখন দুটি এলাচ নিন। এগুলো ছেঁচে এবং পানিতে সেদ্ধ করুন। স্বস্তি পেতে পানিটুকু ঠান্ডা করে পান করুন।
গুড়: উচ্চ ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত গুড় অন্ত্রের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি হজমেও সহায়তা করে। খাওয়ার পরে এক টুকরো গুড় চুষে খাওয়ার অভ্যাস করুন, এটি আপনার পেট ঠান্ডা করতে সাহায্য করবে।