লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কে কীভাবে সংক্রমিত হচ্ছে বুঝতেই পারছেন না অনেকে। সংক্রমের প্রায় ১৪ দিন পর এর উপসর্গ দেখা দেয় শরীরে। জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশি,মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এর প্রধান প্রধান উপসর্গ।
তবে করোনা আক্রান্তের খুব সহজ উপসর্গ হচ্ছে খাবারের ঘ্রাণ না পাওয়া। অনেকে খাবারের গন্ধও পান না। জাপানের আইচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও চিকিৎসকদের মতে, এই ঘ্রাণ না পাওয়াকে বলা হয় অ্যানোসমিয়া।
একাধিক গবেষণা বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বহু রোগী স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে ফেলছে। এক বিশেষজ্ঞ জানান, করোনায় জ্বর-কাশির বদলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়াটাই একমাত্র উপসর্গ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
কথায় আছে, ঘ্রাণেই অর্ধেক ভোজন। খাবারের গন্ধই আমাদের খাবার খাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। মনে রাখবেন, করোনার প্রাথমিক উপসর্গ এটি। যদি কারো খাবারের বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ পেতে সমস্যা হয়, প্রথমেই নিজেকে আলাদা রাখতে হবে। যেন করোনা হলে অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়। আর অবহেলা না করে কভিড-১৯ পজিটিভ কিনা টেস্ট করিয়ে নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও কোভিড- ১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর যদি আপনারও এই উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে এই কাজটি করতে পারেন। জেনে নিন পদ্ধতি-
ঘ্রাণ শক্তি ফিরে পেতে প্রকৃতিতে উপাদানের উপর ভরসা রাখতে পারেন। এতে আপনাকে সাহায্য করবে গোলাপ, ইউক্যালিপটাস, লবঙ্গ,ও লেবুর ফুলের গন্ধ। এগুলোর ঘ্রাণ নিলে দ্রুত খাবারের গন্ধ বুঝতে পারবেন। হাতের কাছে এইগুলো না পেলে এগুলোর নির্যাস থেকে তৈরি অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল কাজে লাগাতে পারেন। আর তাও যদি সম্ভব না হয় তবে লেবু ও গোলাপ ফুলের গন্ধযুক্ত সাবানও কাজে দেবে। আর এই ঘ্রাণশক্তি এক সপ্তাহ থেকে দুই মাসের মধ্যেই ফিরে আসে। এর জন্য আলাদা করে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হবে না।