স্পোর্টস ডেস্ক।।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাম তিনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলা কোনও ক্রিকেটারের করোনায় আক্রান্তের ঘটনাও প্রথমবার সামনে আসে তৌফিক উমরকে দিয়ে। দুই সপ্তাহ আগে কোভিড-১৯ রোগ ধরা পড়া সাবেক পাকিস্তানি ওপেনারের প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলেছে। সেরে ওঠার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন তৌফিক।
দুই সপ্তাহ বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যান। এর আগে ২৩ মে করোনা আক্রান্তের খবর দিয়েছিলেন তিনি। শরীরের মধ্যে খারাপ লাগায় পরীক্ষা করলে ‘পজিটিভ’ ধরা পড়ে তার। যদিও করোনার লক্ষণ সেভাবে অনুভব করেননি তৌফিক।
এরপরই থেকেই ছিলেন আইসোলেশনে। দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার পরীক্ষার ফল ‘নেগিটিভ’ এলে সবার জন্য সতর্কতার বার্তা দিয়েছেন তৌফিক। করোনাভাইরাসকে ‘সিরিয়াসলি’ নেওয়ার সঙ্গে মানুষজনকে নিজেদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান তার। একই সঙ্গে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরামর্শ সাবেক পাকিস্তানি ওপেনারের।
২০০১ সালে পাকিস্তানের জার্সিতে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া তৌফিক বলেছেন, ‘আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, প্রত্যেককে যেন নিজেদের প্রতি যত্নশীল হয় এবং কোভিড-১৯ রোগকে সিরিয়াসলি নেয়। সামাজিক দূরত্ব ও নিরাপদ অবস্থান বজায় রাখা প্রত্যেকের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’
১৩ বছরের ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের হয়ে তৌফিক খেলেছেন ৪৪ টেস্ট ও ২২ ওয়ানডে। ৩৭.৯৮ গড়ে টেস্টে ২ হাজার ৯৬৩ ও ওয়ানডেতে ৫০৪ রান করা সাবেক বাঁহাতি ওপেনার জানিয়েছেন, আক্রান্ত হলে মানুষজনের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তার বক্তব্য, ‘আমি আমার পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের থেকে দূরে থেকে দুই সপ্তাহ নিজের ঘরে আইসোলেশনে ছিলাম। আমি মানুষজনকে বলব, করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হলে আতঙ্কিত না হতে। তাদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে নিজেদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করার।’
তৌফিক সেরে উঠলেও পাকিস্তানে অন্তত দুজন ক্রিকেটার মারা গেছেন কোভিড-১৯ রোগে। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে করাচিতে মারা গেছেন প্রথম শ্রেণিতে ৪৩ ম্যাচে ১১৬ উইকেট পাওয়া লেগ স্পিনার রিয়াজ শেখ। এর আগে গত এপ্রিলে পেশাওয়ারে মারা যান প্রথম শ্রেণি খেলা আরেক ক্রিকেটার জাফর সরফরাজ।