আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
দুই দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, দিল্লি লকডাউন তুলে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সোমবার তিনি দিল্লিবাসীর উদ্দেশে আবারও বলেন, রাজধানীকে পুনরায় খুলে দেওয়ার সময় হয়েছে। আমাদের করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বসবাসের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দিল্লিতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ৪১২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২৫৬ জন আর মারা গেছেন ৬৪ জন। এ অবস্থার মধ্যেই লকডাউন শিথিল করেছে দিল্লি সরকার।
সোমবার (৪ মে) এক প্রেস কনফারেন্সে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, সংক্রমিত এলাকাগুলো বন্ধ রাখার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি । বাকি এলাকাগুলোকে সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সবুজ জোনের দোকানগুলো জোড়-বিজোড় দিন হিসেবে খোলা রাখা যায়। লকডাউন পুরোপুরি উঠে যাওয়ার পরও এটা থাকতে পারে। যদি সংক্রমণ আবার বাড়ে তাহলে সেটা মোকাবিলায়ও আমরা প্রস্তুত।
বেসরকারি অফিসও খোলার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি। তবে ৩৩ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন। সেটা আবার আইটি ও জরুরি সামগ্রী উৎপাদন কারখানা বা অফিস। এছাড়াও প্রয়োজনীয় পণ্য, আইটি পরিষেবা, কল সেন্টার, এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা পরিষেবাগুলির জন্য ই-বাণিজ্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। তবে জনবহুল মার্কেট এলাকা অবশ্যই বন্ধ থাকবে। স্টেশনারি ও মুদি দোকান খোলা রাখা যাবে আবাসিক ও পাড়া মহল্লায়। প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রনিক্স ও গৃহস্থালি কাজের সঙ্গে জড়িতরাও কাজ শুরু করতে পারেন বলে জানিয়েছে দিল্লির রাজ্য সরকার।
যানবাহনের ক্ষেত্রে দুই চাকার যানে একজন, চার চাকার ব্যক্তিগত যানে চালকসহ তিনজন চলাচল করতে পারবে। দিল্লি ছাড়াও মহারাষ্ট্র, কেরালা প্রভৃতি রাজ্যও লকডাউন শিথিল করে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। ৪ মে থেকে ভারতে শুরু হয়েছে তৃতীয় মেয়াদে দুই সপ্তাহের লকডাউন। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৪২ হাজার মানুষের। মারা গেছে ১৩৭৩ জন।