আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হজযাত্রা বাতিল করা দেশের তালিকায় নাম লেখাল মালয়েশিয়াও। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) এ ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী জুলকিফলি মোহাম্মদ আল-বাকরি।
স্থানীয় জাতীয় টেলিভিশনের এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আশা করি হজযাত্রীরা ধৈর্যশীল হবেন এবং এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।’
প্রতিবছর মালয়েশিয়ার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম হজ করতে মক্কা-মদীনা যান। কোটা ব্যবস্থার কারণে দেশটির অনেকেই জীবনে একবারই পান এই সুযোগ।
মালয়েশিয়ার তাবুং হজ বোর্ড জানিয়েছে, তাদের ৩১ হাজার ৬০০ জন মুসল্লিকে হজের অনুমতি দিয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু সরকার হজযাত্রা বাতিল করায় এ বছর সেই আশা পূরণ হচ্ছে না কারও।
মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩৬৯ জন, মারা গেছেন অন্তত ১১৮ জন।
এর আগে, গত সপ্তাহে করোনা মহামারির কারণে হজযত্রা বাতিলের ঘোষণা দেয় বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ ইন্দোনেশিয়া। কোটা ব্যবস্থায় তাদের ২ লাখ ২১ হাজার মুসল্লির জন্য হজের অনুমতি মিলেছিল। এছাড়া হজযাত্রা বাতিল করেছে সিঙ্গাপুর ও ব্রুনেই সরকারও।
এদিকে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবছর হজ পুরোপুরি বাতিল না করে সীমিত সংখ্যক মুসল্লিকে অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব।
জানা গেছে, প্রত্যেক দেশের জন্য নির্ধারিত কোটার মাত্র ২০ শতাংশ মুসল্লিকে হজ করতে সৌদি প্রবেশের অনুমতি দেয়া হতে পারে। তবে বয়স্কদের জন্য এ সুযোগ থাকবে না। এছাড়া সবাইকেই অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম হজ করতে সৌদি আরব যান। হজ ও বছরব্যাপী ওমরাহ থেকে সৌদি সরকারের বছরে আয় হয় অন্তত ১২০০ কোটি মার্কিন ডলার।
তবে এখনও সৌদির কিছু কর্মকর্তা করোনা ঝুঁকির কারণে এবারের হজ বাতিলের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্র-রয়টার্স।