লাইফষ্টাইল ডেস্ক।।
করোনার তাণ্ডবে দিশেহারা পুরোবিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল। প্রতি ১০০ বছর পরপর পৃথিবী কোনো না কোনো মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে এ থেকে মুক্তিও পেয়েছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব।
আমাদের দেশেও এর আগে নানা ধরনের ভাইরাস দেখা দিয়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করে আবারো সুস্থ হয়েছে দেশ। তবে করোনাভাইরাস অনেকটা ছোঁয়াচে হওয়ায় ঝুকিপূর্ণ বেশি। এটি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশি এবং স্পর্শ থেকে অন্যকে সংক্রমিত করে।
তবে কিছু নিয়ম মেনেই করোনাকে জয় করা সম্ভব। নিয়ম মেনেই এর সংক্রমণ ঠেকাতে পারবেন। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকুন। জেনে নিন উপায়গুলো-
**বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। প্রয়োজনে সঙ্গে অতিরিক্ত মাস্ক রাখুন।
**গ্লাভস ব্যবহার করা খুব বেশি জরুরি নয়। কারণ কোনো কিছু স্পর্শ করার পর আপনাকে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতেই হবে।
**চশমা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই ভাইরাস শরীরে চোখ দিয়েও প্রবেশ করতে পারে। চাইলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।
**যে কোনো কিছু ধরার পর আপনাকে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাত ধোয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে রাখতে পারেন অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার। সাবান পানি না পেলে এগুলো দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করুন।
**বারবার চোখ, নাক মুখে হাত দেয়ার অভ্যাস দূর করুন। এমন নয় যে হাত ধুয়েছেন বলে বারবার চোখে মুখে হাত দেবেন।
**বাইরে যাওয়ার জন্য এমন জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন। যেগুলো সাবান পানি দিয়ে কিংবা জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিষ্কার করা যায়। এগুলো ঘরের বাইরেই রাখুন।
**কাছাকাছি কোথাও গেলে হেঁটেই যান। এতে সামাজিক দূরত্বও মানা হবে সেই সঙ্গে ব্যায়ামও হয়ে যাবে।
**অনেকেই ঘড়ি, চুড়ি, ব্রেসলেট ব্যবহার করেন। এখন এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এগুলোতেও ভাইরাস পাঁচ ঘণ্টার বেশি বেঁচে থাকতে পারে।
**বাইরে গেলে ওড়না কিংবা স্কার্ফ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। চুল এবং দাঁড়িতেও দীর্ঘক্ষণ বাঁচতে পারে ভাইরাস। বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে চুল, দাঁড়ি ধুয়ে নিন।
**মোবাইল, মানিব্যাগ স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন।
**অফিসে বা কাজের জায়গায় প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র আগে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। ল্যাপটপ, মাউস, চেয়ার, ডেস্ক, মেশিনপত্র ইত্যাদি সবার প্রথমে পরিষ্কার করে নিন। নিজের কাপ, মগ, পানির বোতল, খাবার প্লেটও ব্যবহারের আগে পরিষ্কার করুন।
**অফিসে গিয়েই কাজে বসে যাবেন না। হাত মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। প্রয়োজনে বাইরে থেকে যে জামা-কাপড় পরে এসেছেন, সেগুলো খুলে পলিথিনের ব্যাগে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে বেঁধে রাখুন। তারপর অফিসে রাখা নতুন জামাকাপড় পরুন।
**অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে মোবাইল পরিষ্কার করে নিন। মানি ব্যাগও অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। চাইলে ধাতব কয়েন এবং টাকাও ওই প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
**অফিসেও সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। সহকর্মীদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব রেখে চলুন। সব ধরনের যোগাযোগ মেইল কিংবা ফোনে সেরে ফেলুন।
**লিফট থেকেও ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন। লিফট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আগে যদি ১০ জন মানুষ একসঙ্গে উঠতেন, এখন ৪ থেকে ৫ জনের বেশি না।
**লিফটের বোতাম টিপতে কনুই ব্যবহার করুন অথবা টিস্যু পেপার। ব্যবহারের পর টিস্যু এবং যেকোনো ব্যবহৃত জিনিস নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন।
**এই সময় বেশি করে লেবু পানি পান করতে পারেন। গ্রিন টি অথবা গরম চা, পানি খান বারবার। ভেষজ পানীয় পান করতে পারেন।
**মানসিক প্রশান্তি আনতে ব্যায়াম করুন, নামায পড়ুন, বই পরতে পারেন।
**পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।