অনলাইন ডেস্ক।।
আগামীকাল বুধবার (০৬ মে) বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। এ দিনে বুদ্ধের জন্ম, বোধি লাভ ও মহাপরিনির্বাণ হয়েছিল। করোনা মহামারির কারণে এবার সব বিহার, প্যাগোডায় কোনও রকম বুদ্ধ পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করা হবে না। শুধু বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষু সংঘরা বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয় কাজ সমাধা করবেন। অন্যান্যরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে ধর্মীয় কার্য প্রতিপালন করবেন। দেশের শীর্ষ বৌদ্ধ সংগঠনগুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমা। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতমবুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন নেপালের লুম্বিনি কাননে। এ রাতেই তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায়। এছাড়া গৌতমবুদ্ধের মৃত্যুও হয়েছিল এ রাতেই। আর এ কারণেই এ তিথিকে বলা হয় বুদ্ধপূর্ণিমা।
এ দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় প্রতিবছর বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হলেও এবার করোনার জন্য ঘরেই উদযাপন করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ-বাংলাদেশ, বনভন্তে শিষ্য সংঘসহ দেশের সব অঞ্চলের শীর্ষ বৌদ্ধ সংগঠনগুলো আলোচনা করে বাড়িতে হবে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, ‘আমরা নিজ নিজ বাড়িতে ধর্মীয় কার্য সম্পাদন করে আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রিয় মাতৃভূমিকে করোনাভাইরাস মুক্ত রাখবো।
ভগবান বুদ্ধের আহ্বান অনুযায়ী আমরা করোনাকালে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াবো।’
এ দিনটিতে বৌদ্ধকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। শুভেচ্ছা বাণীতে বলা হয়, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনগণ ভগবান বুদ্ধের জন্মদিনে করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্যে সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভগবান বুদ্ধের কাছে প্রার্থনা করবেন।