রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

কোমর ব্যথা হলেই কি পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন

Facebook
Twitter

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা।।
যখনই কারও কোমরে ব্যথা হয় তখনই বিশ্রাম নিতে চান। অনেকদিন ধরেই ব্যথায় বিশ্রাম নেওয়া একটি উপদেশ তথা চিকিৎসা হিসেবে চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান গবেষণা বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্রাম করলে মেরুদণ্ডে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। মেরুদণ্ডে সমস্যা হলে ডিক্সেও সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে শুয়ে থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের পাশাপাশি অক্সিজেন এবং নিউট্রিশনের পরিমাণও কমে যায়। ফলে সুস্থ হতে বেশি সময় লাগে। দীর্ঘ সময় বেড রেস্ট শরীরের সব কার্যক্রম ধীর করে দেয়। ফলে শরীরের অন্যান্য সমস্যাও বেড়ে যায়। যেমন–

১. ব্যথা কমাতে সারাদিন শুয়ে থাকা ভালো ধারণা হলেও, কাজ এবং সারাদিন সক্রিয় থাকা আপনার সমস্যার সিমটমগুলো অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখে। দিনের পর দিন বিশ্রাম কোমর ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে না । বরং যত তাড়াতাড়ি হাঁটাচলা শুরু করবেন এবং দৈনন্দিন কাজে ফিরবেন তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন।

২. দীর্ঘ সময় ধরে শুয়ে থাকলে মাংসপেশি স্টিফ হয় এবং ব্যথা বেড়ে যায়। শারীরিক মুভমেন্ট না হলে মাংসপেশির শক্তি এবং ফেক্সিবিলিটি কমে যায়। দীর্ঘদিন বিশ্রামে থাকলে প্রতিদিন ১ শতাংশ করে মাংসপেশির শক্তি কমতে থাকে। কখনও কখনও অতিরিক্ত বিশ্রামে প্রতি সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ শক্তি কমে যায়। একবার মাংসপেশি দুর্বল হলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় বিশ্রামে থাকলে হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এতে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হতাশাও বেড়ে যায়। তবে যাদের আনস্টেবল ফ্যাকচার হয়েছে এবং যারা সার্জারির জন্য অপেক্ষা করছেন তারা বেড রেস্ট করতে পারেন।

ব্যথা হলে তাহলে কী করবেন?
হঠাৎ জয়েন্টে ব্যথা হলে তৎক্ষণিক ব্যথার স্থানে নারিকেল তেল লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট ঠান্ডা সেঁক নিন। নিকটস্থল মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিসঅর্ডার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন। ব্যথা কমায় সেসব খাবার খাবেন যেমন– মধু (ব্যথার স্থানে মধুর সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে মাখালে ব্যথা কমে) খেজুর, কালোজিরা, অলিভ অয়েল, তরমুজ ইত্যাদি। এ ছাড়া লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, প্রচুর পানি পান করুন। লাল মাংস খাবেন না। প্রতিদিন ৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগান। ধূমপান বর্জন এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন। এটি কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।

লেখক: অধ্যাপক ডা. আলতাফ হোসেন সরকার, মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিসঅর্ডার বিশেষজ্ঞ।

জনপ্রিয়