সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০
লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
সামনেই পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এ সময়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা গবাদিপশু কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ওষুধ দিয়ে মোটাতাজা করা গরুর মাংস খেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নিরাপদ মাংসের জন্য তাই সুস্থ গরু চেনাটা খুব জরুরি।
সুস্থ ও অসুস্থ গরু চেনার উপায়—
> রাসায়নিক বা ওষুধ দেয়া গরুর মাংসপেশি থেকে শুরু শরীরের অন্য অঙ্গগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। গরুর শরীরে পানি জমার কারণে বিভিন্ন অংশে চাপ দিলে সেখানে গর্ত হয়ে দেবে যাবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় নেবে।
> অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় এসব গরু স্বাভাবিক নাড়াচাড়া ও চলাফেরা করতে পারে না এবং শান্ত থাকে।
> অতিরিক্ত স্টেরয়েড দেয়া গরুর মুখ থেকে প্রতিনিয়ত লালা ঝরে। এসব গরু কিছু খেতে চায় না।
> সুস্থ গরুর শরীরের রঙ উজ্জ্বল, পিঠের কুঁজ মোটা, টান টান ও দাগমুক্ত হবে।
> সুস্থ গরুর রানের মাংস শক্ত থাকবে। আর রাসায়নিক দেয়া গরুর পা হবে নরম থলথলে।
> রাসায়নিকযুক্ত গরু ভীষণ ক্লান্ত থাকে ও ঝিমাবে। আর সুস্থ গরুর গতিবিধি চটপটে থাকে। কান ও লেজ দিয়ে মশা মাছি তাড়ায়।
> সুস্থ গরুর নাকের ওপরের অংশটা ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে। অন্যদিকে অসুস্থ গরুর নাক থাকবে শুকনা।
> ওষুধ খাওয়ানো গরুর শরীরের অঙ্গগুলো নষ্ট হতে শুরু করায় এগুলো শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। মনে হবে হাঁপাচ্ছে।
> গরুর শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বুঝবেন গরুটি অসুস্থ।
> সুস্থ গরুর চামড়ার ওপর দিয়ে কয়েকটা পাঁজরের হাড় বোঝা যাবে।