শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

‘খয়রাতি’ শব্দের ব্যবহার ছোট মানসিকতার পরিচয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Facebook
Twitter

অনলাইন ডেস্ক।।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পণ্যে চীন সরকারের দেয়া শুল্ক সুবিধাকে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা ‘ছোট মানসিকতার পরিচয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভারতীয় কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। চীনের দেয়া সুবিধা সম্পর্কে যে শব্দের ব্যবহার তারা করেছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তবে এর বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে চাই না।

যেসব পত্রিকা এই ভাষা ব্যবহার করেছে তারা ‘সাংবাদিকতার নৈতিকতা বিবর্জিত’ কাজ করেছে বলেও মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, চীন যে সুবিধা দিয়েছে তা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ দিনের ফসল। অনেকদিন ধরেই আমরা এই সুবিধা চীনের কাছে চেয়ে আসছিলাম।

ড. মোমেন বলেন, সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমাদের অর্থনীতি বিরাট একটা ধাক্কা খাচ্ছে। তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতারা বিরাট অংকের অর্ডার বাতিল করেছে। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসা কমবে বলেও আশঙ্কা ছিল। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সকল বন্ধু দেশের কাছেই সহায়তা চাই। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প পণ্যতে আগামী দুই বছর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা চেয়েছি। তারা বিবেচনা করবে বললেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

ড. মোমেন বলেন, আমরা চীন এমনকি প্রতিবেশী ভারতের কাছেও এ ধরনের সুবিধা চেয়েছি। চীন খুবই উপযুক্ত সময়ে অন্যান্য এলডিসিভুক্ত দেশেগুলোর সাথে বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পণ্যে এই সুবিধা দিয়েছে। চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্যিক ঘাটতি অত্যন্ত বেশি। আশা করি আট হাজারের বেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও কমিয়ে আনবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা খয়রাতি নয়। তাছাড়া এই বিষয়ে ভারত সরকার কোনো কিছু বলেনি। তবে দেশটির কয়েকটি পত্রিকা আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করেছে। তারা এমন শব্দ ব্যবহার করেছে যা কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশি পণ্যে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে চীন। আগামী ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ এই সুবিধা ভোগ করবে। গত ১৬ জুন দেশটির ট্যারিফ কমিশন নোটিশ দিয়ে এ তথ্য জানায়। নোটিশে বলা হয়, স্বল্পোন্নত দেশের জন্য শুল্কমুক্ত পণ্যের প্রবেশাধিকার দিতে চীনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশকে দেয়া চীনের এই সুবিধাকে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে। তাদের দাবি চীন ও ভারতের মধ্যে সংঘাতের জেরে চীন বাংলাদেশকে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বাগে টানতে চাইছে।

গত শনিবার ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা প্রথমে বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে খবর প্রকাশ করে। পরে জি নিউজের বাংলা সংস্করণ ‘২৪ ঘণ্টা’র সংবাদের শিরোনামেই ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়।

জনপ্রিয়