সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০
দশমিনা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।।
পটুয়াখালীর দশমিনায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগম(৩০) মারা গেছেন। তিনি দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলমের স্ত্রী। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুমি বেগম।
জানা যায় জানান, থানা সংলগ্ন একটি তৃতীয়তলা ভবনের নিচতলায় স্ত্রী নিয়ে থাকতেন থানার এএসআই সহিদুল আলম। বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চা না হওয়ার কারণে প্রায়ই দুশ্চিন্তা করতেন সুমি। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখিয়ে কোনো লাভ হয়নি সুমির। তবে সহিদুল তার স্ত্রীর প্রতি সব সময় সন্তুষ্ট ছিলেন ও পারিবারিক কোনো কলহ ছিলনা।
ভাড়া বাসার মালিম মো. হারুন ফরেস্টার বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সহিদুলের স্ত্রী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে সুমির স্বামী ও থানা পুলিশরা মিলে তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নেয়া হয়।
দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, তার শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করলে তার অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকেও তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
এ বিষয় দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলমের নাম্বারে ফোন করা হলে তার সহকর্মী পরিচয়ে একজন ফোন রিসিভ করে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। সহিদুল ও তার স্ত্রী সুমির বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায়।
দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, সহিদুলের স্ত্রী ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তার স্ত্রীর লাশ ময়নাতদন্ত হবে না।