গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা।।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলা ও সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে বরগুনার ৫০৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। আমফানের প্রভাবে পায়রা বন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকলেও বরগুনাসহ উপকূলীয় এলাকাসমুহে এর তেমন কোনো প্রভাব নেই। দিনভর গ্রীষ্মের কড়া রোদের সাথে দাবদাহ অব্যহত ছিল। আকাশে মেঘ বা দমকা অথবা টানা মাঝারি বাতাসও বইছে না। তবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এখন পর্যন্ত নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পায়নি।
দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় আমফান প্রতিরোধে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারি-বেসরকারি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরি বলেন, আমফান থেকে সতর্ক আছেন জেলেরা। ইতোমধ্যেই তারা গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে জেলেদের নিষেধ করে উপকূলের কাছা কাছি নিরাপদে অবস্থান করতে বলেছেন। তিনি আরো বলেন, সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে তবে নদ-নদীতে এর কোনো প্রভাব এখনো পড়েনি।