রূপালী ডেস্ক।।
বরিশালে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’মোকাবিলায় ২ লক্ষ্য ৪০ হাজার মানুষের জন্য প্রস্তুত ১হাজার ৫১আশ্রয় কেন্দ্র। রবিবার (১৭ মে) বিকাল ৪ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘আম্ফান’মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস.এম অজিয়র রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবদুর রকির, বীর প্রতীক কে এস এম মহিউদ্দিন মানিক, উপ-পরিচালক বিভাগীয় তথ্য অফিস মুহামদ আমিরুল আজম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল লতিফ মজুমদার, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়, সিভিল সার্জন প্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
১. বরিশাল জেলায় ১০৫১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে সেখানে ২ লক্ষ্য ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
২. যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. জেলার সকল স্থানে মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার করতে হবে।
৪. মাঠে থাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ফেলার ব্যবস্থাকরণ করতে কৃষক কে পরামর্শ দিতে হবে প্রয়োজন হলে তাদের ধান কাটতে সহযোগিতা করা হবে।
৫. প্রাণীসম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
৬. সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট সহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দূর্যোগ মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুত রাখতে হবে।
৭. জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হবে ।
আবহাওয়া সর্বশেষ অবস্থা, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ একই এলাকায় (১১.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) স্থির থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৩০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকট সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৪ পুনঃ ৪ নম্বর স্থায়ী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে সল্পতায় সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।