সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০
আমির হোসেন, চরফ্যাশন।।
সারা বিশ্ব যখন কেভিট-১৯ করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংক হয়ে পড়েছে। উন্নয়ত বিশ্ব গুলো যেখানে এই ভাইরাসের কোন টীকা বা ঔষাধ আবিস্কার করতে পারেছে না, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বাংলাদেশেও আক্রান্ত মৃত্যুর সারি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মূহুর্তে চরফ্যাশনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরের দিন বিনোদন স্পটগুলোয় নারী পুরুষ ও শিশু কিশোরের ভিড় পড়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারিতে এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। মানুষের এ অসচেতনতায় ঘটতে পাড়ে ভয়াবহ অবস্থা।
উপজেলার কয়েকটি বিনোদন স্পট ঘুরে দেখা গেছে শিশুকিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে ঘোরাঘুরি করতে। চরমাদ্রাজের খেজুরগাছিয়া,আসলামপুরের লঞ্চ ঘাটের বেতুয়া মেঘনা বিনোদন স্পট, বেতুয়া স্লুইজগেট, সামরাজ নদীরপাড়সহ বিভিন্ন বিনোদন স্পটে হাজার হাজার মানুষ যাদের ৯০ভাগের কারো মুখেই নেই মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব।
মঙ্গলাবর (২৬ মে) বিকালে চরফ্যাশন বেতুয়ার বিনোদন স্পট মেঘনা পাড়ে ঈদের পরবর্তীতে বিনোদন করার জন্যে জনতার ঢল দেখে সংবাদকর্মী ও প্রশাসন হতাশ হয়ে পড়ে।
বেতুয়া ঘাটের বিনোদন স্পটের জণৈক দর্শনার্থী আবদুল আজিজ বলেন, আমরা অনেক দিন ঘরে ছিলাম আর ভাল লাগেনা তাই বেতুয়াঘাটের নদীর পাড় ঘুরতে আসছি। মুখে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বের ব্যপারে বলেন, এতো দর্শনার্থীদের মধ্যে এটি পালন করার সম্ভাব নয়।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শামসুল আরেফীন বলেন, ঈদে যারা ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও চট্রগ্রাম থেকে আসছে সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ওই বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোন দূর্বলতা নেই। চরফ্যাশনের প্রত্যেক মানুষ সচেতন হোক এটা আমরা চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা করোনা ভাইরাস সচেতনতায় প্রচার প্রচারণাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিচ্ছি। যারা সরকারের নির্দেশনা মানছেনা তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রত্যেক বিনোদন স্পটসহ অন্যান্য এলাকায় অভিযান চালানো হবে। যারা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের হবে তাদের বিরুদ্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা হবে।