সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

চোখ বন্ধ করে লকডাউন প্রত্যাহারের ফল ভালো হবে না: কুমো

Facebook
Twitter

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
নিউ ইয়র্কে চলমান লকডাউন এখনই প্রত্যাহারের দাবিকে ‘অপরিণত’ বলে উল্লেখ করেছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। চোখ বন্ধ করে লকডাউন প্রত্যাহার করে ফেলার পক্ষপাতী নন তিনি। কুমো বলেছেন, কর্মহীন অবস্থায় মানুষকে কত সংগ্রাম করতে হচ্ছে তা তিনি অবগত আছেন, তবে লকডাউন প্রত্যাহারের আগে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও জানতে হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর প্রাণ হারিয়েছে ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে নিউ ইয়র্ক। সেখানে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের মোট অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রায় অর্ধেক থেকেই আংশিকভাবে লকডাউন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সেখানকার গভর্নররা। আংশিক সচল হয়েছে অর্থনীতি। তবে এখনই লকডাউন প্রত্যাহারে রাজি নন নিউ ইয়র্কের গভর্নর কুমো। তিনি মনে করেন, করোনা মহামারির ব্যাপারে আরও তথ্য লাগবে তার। কুমো বলেন ‘অকূল সাগরে ভাসলেও কারও অন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; আবেগ, রাজনীতি, মানুষ কী ভাবছে কিংবা বাস্তবতার দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা কী জানি।’

নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মুরফি নিউ ইয়র্কের গভর্নর কুমোর ধীরে চলার নীতিকেই প্রতিধ্বনিত করেছেন।

মুরফি বলেন, ‘পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশিদেরকে আমরা হারিয়েছি। সেকারণে আমরা নতুন করে সব কিছু চালু করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করতে পারি না। নিউ জার্সিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া এবং অর্থনীতি সচল করার আগে আমাদেরকে দেখতে হবে সব কিছু ঠিক আছে কিনা।’

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিক দিয়ে নিউ ইয়র্কের পরেই নিউ জার্সির অবস্থান। সেখানে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে সম্প্রতি সেখানে মৃতের সংখ্যা কমে আসতে দেখা গেছে। মুরফি মনে করেন, স্টে অ্যাট হোম অর্ডার যথাযথভাবে পালনের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

জনপ্রিয়