শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
কুয়াকাটা প্রতিনিধি ।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আলিফ মাহমুদ রুদ্র (২২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে তার বাবা সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বাবার অবাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকাল ৩ টার দিকে তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আলিফ মাহমুদ রুদ্রর বাবা রাসেল মোল্লা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক । আলিফ মাহমুদ রুদ্র তার বড় ছেলে। তিনি কলাপাড়া পৌর শহরের ৬ ওয়ার্ডের বাসিন্দা। রাসেল মোল্লা কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বরিশালের আঞ্চলিক দৈনিক আজকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন।
রাসেল মোল্লা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, প্রিয় কলাপাড়া বাসী আসসালামু আলাইকুম আমার ছেলে আলিফ মাহমুদ রুদ্র সে আমার সিদ্ধান্ত কে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার কারণ তাকে আমার পরিবারের থেকে তেজ্য পুত্র ঘোষণা করলাম। আজ থেকে আমার পরিবারের কোন সদস্যদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। আমি নিজেও কোন রাজনীতিক দলের সাথে জড়িত নাই। আগামীতে কোন দলের সাথে জড়িত হবো না।
সূত্র জানায়, কলাপাড়া ইসমাইল তালুকদার টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে আলিফ মাহমুদ রুদ্র, কলাপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা সাবেক কলাপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।রুদ্রর চাচা রফিকুল ইসলাম কলাপাড়া পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
রাসেল মোল্লা বলেন, আমি আমার ছেলের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে গেছি। আমি আগে রাজনীতি করতাম। আমি রাজনীতি এখন পছন্দ করি না। আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করুক সেটা আমি চাই না। এই জন্য আমি তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেছি। খুব শীঘ্রই কাগজ-কলমে তাকে তেজ্য করা হবে।
আলিফ মাহমুদ রুদ্র বলেন, আমি আমার বাবার বাসায় থাকি না। আমি ছোটবেলা থেকেই ছাত্রলীগকে পছন্দ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করি এজন্য আহত হয়েছি কয়েক বার। পরিবারের সাথে আমার অনেক আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক নেই। আমি ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, তেজ্য করার বিষয়টি এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। তারপরেও আলিফ মাহমুদ রুদ্র যদি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই তাকে মূল্যায়ন করা হবে। লক্ষ লক্ষ ছাত্রলীগের কর্মী বাংলাদেশে রয়েছে তার বাবারা গৌরব করে তার সন্তানদের নিয়ে। কারণ তার ছেলে ছাত্রলীগ করে।