সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
Menu
Menu

জগন্নাথপুরে জালিয়াতি চক্রের হোতা সায়াদ মিয়াসহ ৫জনকে জেলহাজতে প্রেরণ

Facebook
Twitter

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে হিসেবে হাজী সায়াদ মিয়া তিনি তার পিতার একমাত্র সন্তান দেখিয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট জাল জালিয়াতি করে ভিট রকম ৪ শতক ভূমি অন্যত্র বিক্রির করার অভিযোগে আপন বড়ভাইসহ ৫জনের জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জগন্নাথপুর জোনে আসামীরা হাজিরা দিতে এলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

এ ঘটনায় আসামীর আপন ছোটভাই শাহিদ মিয়া গংরা বাদি হয়ে গত ২০২৩ সালের ২৮ আগষ্ট তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি তাদের আপন বড়ভাই হাজী সায়েদ মিয়া তার পিতার একমাত্র সন্তান দাবী করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ওয়ারিশান সার্টিফিকেট বানিয়ে ৪ শতক ভিটারকম ভূমি চিলাউড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে অন্যত্র একলাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা আত্মাসাধের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং- সিআর ১৬৯/২০২৩ ইং তারিখ। মামলায় বাদির আপন বড়ভাই হাজী সায়াদ মিয়াকে প্রধান করে আরো ৪জনসহ মোট ৫জনকে আসামী করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, খরিদকৃত ৪ শতক ভিট রকম ভূমির মালিক একই গ্রামের ছুরকুম উল্ল্যার ছেলে আলফু মিয়া, জগন্নাথপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ডিটরাইটার(সনদ নং-৪৭) ও একই গ্রামের জমিল মিয়ার ছেলে বশির মিয়া,শরিয়ত উল্ল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মৃত ছমরু মিয়ার ছেলে তখদ্দুছ আলী।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারী প্রতারক হাজী সায়াদ মিয়া প্রতারনার মাধ্যমে তার আপন দুইভাই ও একবোনকে না জানিয়ে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ঐ ৪ শতক ভিটারকম ভূমি একই গ্রামের আলফু মিয়ার নিকট বিক্রি করেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি শাহিদ মিয়া মামলা দায়ের ও আপন বড়ভাইসহ ৫ জনকে জাল জালিয়াতির মামলায় কারাগারে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আপন বড়ভাই হয়ে কিভাবে আমাদেরকে ঠকিয়ে পৈত্তিক সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারেন তা ভাবলে হতভাগ হওয়া ছাড়া আর কিছুই নেই। ইতিমধ্যে বড়ভাই কারাগারে আটককৃত হাজী সায়াদ মিয়া তাদের পৈত্তিক সম্পত্তির অনেক কাগজপত্র আত্মসাত করে গত স্যাটেলমেন্টের জড়িপে তার নামে এককভাবে অসংখ্য জমিজমা রেকর্ড করে নেন। তিনি ঐ সমস্ত প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

এ ব্যাপারে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রুবেল মিয়া জানান, হাজী সায়াদ মিয়া আমার এবং চেয়ারম্যান সাহেবের স্বাক্ষর জালজালিয়াতি করে আইন বিরোধী কাজ করেছেন তাদের কঠিন শাস্তির দাবী জানিয়ে চলতি বছরের ২৩ আগষ্ট মামলার বাদির নিকট প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আরশ আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্যে জানা সম্ভব হয়নি।

জনপ্রিয়