মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
Menu
Menu

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ এক যুদ্ধবিমানের নকশা করেছিল যে স্কুলছাত্রী

Facebook
Twitter

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল ‘স্পিটফায়ার’ আর ‘হ্যারিকেন’ নামের যুদ্ধবিমানগুলো। ব্যাটেল অব ব্রিটেন শুরু হওয়ার ৮০ বছর পূর্তি হলো ১০ জুলাই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ারফোর্স এবং নাৎসি জার্মানির বিমানবাহিনীর মধ্যে আকাশে ওই যুদ্ধ হয়েছিল। ১৯৪০ সালের অক্টোবরে ওই যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল ব্রিটেন।

অবশেষে হামলাকারী নাৎসি বিমানগুলোকে ডেকে পাঠাতে বাধ্য হয় হিটলার। এই যুদ্ধে বিজয়ের জন্য ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী নির্ভর করেছিল অসাধারণ নকশার যুদ্ধবিমানগুলোর ওপরে। আর তার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘স্পিটফায়ার’ যুদ্ধবিমান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই বিমানের নকশায় ছিল স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রী। তার নাম হ্যাজেল হিল। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ১৩ বছরের এক বালিকা।

তার পিতা ফ্রেড হিল ১৯৩০-এর দশকে বিমান মন্ত্রণালয়ে চাকরি করতেন। রাজকীয় বিমান বাহিনীর (আরএএফ) সব ধরনের কর্মকাণ্ড তদারকি করত এই মন্ত্রণালয়। সেই সময় রাজকীয় বিমানবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য নানা ধরনের বিমান তৈরি করা হচ্ছিল। তার একটি ছিল ‘স্পিটফায়ার’।

প্রথম দিকের বিমানগুলো শত্রু বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য কার্যকর ছিল না। পরবর্তীকালে সেই বিমানের উন্নত নতুন সংস্করণ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেসব সংস্কারের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল যে বিমানে কত বেশি আগ্নেয়াস্ত্র সংযুক্ত করা হবে। প্রথমে পরিকল্পনা করা হয়েছিল যে, বিমানে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র থাকবে। তবে হ্যাজেলের পিতা ফ্রেড হিল ভাবলেন, সেখানে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র সংযুক্ত করা উচিত। কিন্তু ঠিক কীভাবে বিমানে সেগুলো বিন্যাস করা হবে, অঙ্কের সেই হিসাব তিনি করে উঠতে পারছিলেন না। তখন তিনি বাড়িতে ফিরে গেলেন এবং তার কিশোরী মেয়ে হ্যাজেলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

তার মেয়ে অঙ্কে তুখোড় ছিল, তাই তাকে জিজ্ঞাসা করেন এই বিমানের নতুন নকশা করে সমস্যাটির সমাধান করতে পারবে কি না। তখন অন্য নকশাকারদের ধারণা ছিল, এই যুদ্ধবিমানগুলোতে আটটি করে আগ্নেয়াস্ত্র সংযুক্ত করা হলে বিমানের জন্য সেটা বেশি হয়ে যাবে এবং ওজনের কারণেই বিমানগুলো উড়তে পারবে না। ফলে শত্রুর হাতে মার খেয়ে ধ্বংস হবে।

কিন্তু সমস্যাটির সমাধান করে দিল হ্যাজেল। পরে হিসাব কষে দেখা গেল, ব্রিটিশদের যুদ্ধ জয়ের জন্য সেটাই আসলে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। হ্যাজেলের গাণিতিক হিসাব-নিকাশের ফলে পাওয়া সেই সমাধান ছাড়া যুদ্ধের ফলাফল হয়তো ভিন্ন রকম হতে পারত। হ্যাজেলের নাতনি ফেলিসিটি বেকার বলেছেন, তার দাদি গল্প করতেন যে তিনি কীভাবে এই যুদ্ধবিমানের সমস্যার সমাধান করেছিলেন। সূত্র-বিবিসি।

জনপ্রিয়