অনলাইন ডেস্ক।।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। এখানে বাইরের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ কাজ করেন। যখন লকডাউন দেওয়া হয় তখন আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ায় মানুষ এটার গুরুত্বটা বুঝে উঠতে পারে নাই। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু মানুষ এই ব্যাপারটাকে গুরুত্বের সাথে নেয়নি। তারা হয়ত ভেবেছিলো এটা আর বাড়বে না।
সোমবার (১১ মে) বিকেলে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সাংবাদিক সেলিম ওমরাও খানের সঞ্চালনায় আরও যুক্ত হয়েছিলেন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, বিএমএদর দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শেখ শহীদ উল্লাহ।
শামীম ওসমান বলেন, আজকে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কোন জায়গায় তা নতুন করে ভাবাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে টেস্ট হচ্ছিল না। কোর কমিটির মিটিংয়ে সিটি করপোরেশন বললেন যে, তাদের ডাক্তাররা এই কাজটা করতে পারবেন না। সিভিল সার্জন বললেন, আমি এখন কী করবো? আমি বললাম, কী করবেন না সেটা এখন বিষয় না, কী করতে হবে সে বিষয়টা বলেন। আমরা পপুলার, মেডিনোভা এরকম ল্যাবগুলোর সাথে কথা বললাম। নারায়ণগঞ্জে ডাক্তারদের সংগঠন স্বাচিপ, বিএমএ এগিয়ে আসলো। ৪ জন স্যাম্পল কালেক্টর আর অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দিলাম। স্যাম্পল যখন কালেক্ট করা শুরু হলো আমরা বুঝতে পারলাম রোগের হারটা কেমন।
নীতিনির্ধারকরা যদি সতর্ক হতো আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনা যেতো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সতর্ক ছিল কিন্তু লকডাউন যখন হলো অনেকের কাছে মনে হলো, এটা একটা ছুটির খেলা। নারায়ণগঞ্জের এসপি আমাকে বললেন, আপনি শক্ত হোন। আমি সিটি করপোরেশন মেয়রের কাছে ম্যাসেজ করলাম যে, আমাদের একসাথে বসতে হবে। মানুষদের বাঁচাতে হবে। চেয়েছিলাম বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সবাই মিলে সর্বদলীয় একটি কমিটি গঠন করে হুইসেল হাতে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল নামাতে। পরে দেখলাম যে কেউ আগাচ্ছেন না। কলও ব্যাক করছেন না। আমি আমার ছেলেদের নামালাম। নামানোর পরে যেই ছেলে মানুষদেরকে ঘরে রাখার কাজ করছিল তাদের নিয়ে কেউ কেউ ব্লেম গেইম খেলা শুরু করলো।
পরিবার, দল ও নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা গিয়ে গিয়ে দেখছে কোথায় খাদ্য সহায়তা পৌছায় নাই। তারা হয়ত সহায়তা করতে পারছেন না কিন্তু তারা আমাদেরকে বলছেন বা অন্যদের জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নাই। আমরা এই অবস্থা কাটিয়ে উঠবো। শুধু ঠান্ডা মাথায় একটু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।