শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

পিরোজপুরে লোহা আত্মসাত: সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

Facebook
Twitter

মোঃ তরিকুল ইসলাম, পিরোজপুর।।
পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি আয়রন ব্রীজের লোহার মালামাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিক্রি করার অভিযোগে বেলায়েত হোসেন বুলু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। তিনি উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ মে) রাতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল গাফ্ফার বাদী হয়ে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় পেলাল কোডের ৪০৬/৪০৯/৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে ওই চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য বানিয়ারী গ্রামে অজয় মন্ডলের ঘাটে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৬ ফুট একটি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ওই স্থানে উপজেলা পরিষদ কর্তৃক একটি আয়রন ব্রীজ স্থাপন করা ছিলো। ওই আয়রন ব্রীজের লোহার ৪১ খানা ভীম উপজেলা পরিষদের কোন অনুমতি ছাড়াই আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বুলু গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গহরডাঙ্গা গ্রামের মৃত সিরাজ শেখের ছেলে ইস্রাফিল শেখের কাছে বিক্রি করেন। ক্রেতা ইস্রাফিল একটি টমটমে করে ওই মালামাল নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে স্থানীরা টমটমসহ ওই মালামাল আটক করে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে।

এ সংবাদ পেয়ে ইউএনও মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া ও মাটিভাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে হাজির হন। তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বুলুর সামনেই ইস্রাফিল মালামাল গুলো চেয়ারম্যানের কাছে ক্রয় করার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। তবে প্রশাসনের জিজ্ঞাসাবাদে ওই মালামাল বিক্রির ব্যাপারে কোন সন্তোষ জনক জবাব দিতে পারেনি চেয়ারম্যান। এ সময় পুলিশ ওই মালামাল গুলো জব্দ করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া জানান, এসব মালামাল ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। তবে চেয়াম্যান সংরক্ষনের নিয়ম-কানুন মানেননি। তাছাড়া উপজেলা নিলাম কমিটির অনুমোদন ছাড়াই আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বিক্রি করে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, টমটমসহ মালামাল গুলো পুলিশ জব্দ করেছে। তাছাড়া এ ঘটনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল গাফ্ফারের লিখিত অভিযোগের ভিক্তিকে ওই চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

ইউএনও মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, সরকারী কোন মালামাল উপজেলা পরিষদের নিলাম কমিটির অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করার সুযোগ নাই। তবে চেয়ারম্যান নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে মালামাল গুলো বিক্রি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এ ঘটনায় সরকারের পক্ষে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জনপ্রিয়