শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

পেশাওয়ার টেস্টে শোয়েবের বল চোখেই দেখিনি: সুজন

Facebook
Twitter

স্পোর্টস ডেস্ক।।
শোয়েব আখতার মানেই গতির রাজা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতির বলটি আজও ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম ডেলিভারি। এ ডেলিভারিতেই প্রথম বোলার হিসেবে তিনি ১০০ মাইল (১০০.২৩ মাইল) গতির দেয়াল টপকেছেন। এমন বোলারের বিপক্ষে ব্যাটিং করা যে কোনও ব্যাটসম্যানের জন্যই কঠিন চ্যালেঞ্জের।

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনও এই শোয়েব আখতারের বোলিংয়ে সামনে বেশ কয়েকবারই পড়েছিলেন। সুজন জানালেন, পেশাওয়ার টেস্টের প্রথম ইনিংসে এই শোয়েবের গতির সামনে চোখে তিনি শর্ষেফুল দেখছিলেন!

রবিবার রাতে তামিম ইকবালের লাইভ আড্ডায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক তিন অধিনায়ক। খালেদ মাহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশার ও নাঈমুর রহমান। সেখানেই ২০০৩ সালে পাকিস্তান সফরের প্রসঙ্গ উঠে আসে। ২০০৩ সালে পেশাওয়ারে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল শোয়েব আখতারের গতির কাছেই! ওই টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। ওমন গতিময় বোলিংয়ের সামনে খালেদ মাহমুদ সুজনকেও খাবি খেতে হয়েছে।

সেই অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি জানালেন, ‘শোয়েব ওই বছর দারুণ ছন্দে বোলিং করছিলেন। প্রথম ইনিংসে আমি শূন্য রানে আউট হয়েছিলাম। শোয়েবের প্রথম বলটি চোখেই দেখিনি। তৃতীয় বলেতো আউটই হয়ে গেলাম। এই ব্যাপারটি আমি বন্ধু-বান্ধব অনেককেই বলেছি, কিন্তু কেউই বিশ্বাস করেনি।’

শোয়েব পেশাওয়ারে কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন, সুজনের এই কথাতেই সেটি স্পষ্ট, ‘আমরা পাকিস্তানে তিনটি টেস্ট ম্যাচেই হেরে যাই। প্রথম টেস্ট করাচিতে চারদিনে নিয়ে যাই। পেশাওয়ার টেস্টেও আমরা লিড নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে শোয়েব আখতারের দারুণ একটি স্পেলে আমরা অলআউট হয়ে যাই।’

পেশাওয়ার টেস্টের পর বাংলাদেশ খেলে মুলতানে। ওই টেস্টের উইকেট এমনিতেই পেস নির্ভর। কিন্তু ওমন উইকেটে খেলানো হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। মূলত তৎকালীন কোচ ডেভ হোয়াটমোর মাশরাফিকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি বলেই খেলানো হয়নি। সুজনের কাছে তামিম জানতে চান, মুলতান টেস্টে মাশরাফিকে না খেলানোর কারণ কী ছিল?

সুজন জানালেন, ‘‘হোয়াটমোর আগেই বলেছিল পেশাওয়ার কিংবা মুলতান টেস্টে যে কোনও একটি টেস্টে মাশরাফিকে খেলাতে। আমি যখন পেশাওয়ারের উইকেট দেখে মাশরাফিকে বলি, ‘তুই এটা খেলিস না। তুই মুলতান খেল।’ মাশরাফি তখন অনেক ছোট। ও (মাশরাফি) বললো, ‘না আমি এটা খেলবো, এখানে যদি ভালো খেলি, তাহলে তো আমাকে বাদ দিতে পারবে না।’ মাশরাফি ঠিকই খেলেছে..। পরের টেস্টে যখন ঘাসের উইকেট দেখে আমি মাশরাফিকে চাই, তখন মাশরাফিকে ডেভ দেয়নি। উল্টো বলেছে, ‘আমি তোমাকে আগেই বলেছি ও(মাশরাফি) ইনজুরিত পড়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে দুটি টেস্টে খেলে ফেলেছে।’’

জনপ্রিয়