আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছে ব্রিটিশ সরকার। এরই মধ্যে বুধবার (২০ মে) ব্রিটেনে তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করেছে। চলতি বছর এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গরম দিন। তাই গরমে আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি ব্রিটিশ। দলে দলে পাড়ি জমিয়েছেন সমুদ্রসৈকতে।
করোনাভাইরাসের কারণে বলবৎ থাকা লকডাউন গত ১৩ মে শিথিল করে ব্রিটিশ সরকার। এর ফলে ঘরের বাইরে যাওয়া, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যেকোনো খেলাধূলা করা, রৌদ্রস্নানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছুটা শৈথিল্য দেয়া হয়।
কিন্তু লকডাউন শিথিলের সুযোগ নিয়ে গরমে স্বস্তি পেতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন ব্রিটিশরা। অথচ ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাজ্যেই। আর এতেই ভীষণ চটেছে স্থানীয়রা। কিছু জায়গায় চাপ এত ছিল যে, ট্র্যাফিক সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে।
ডেভন অ্যান্ড কর্নওয়েল পুলিশ জানিয়েছে, অনেক বেশি ট্র্যাফিক ছিল। সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় মাইল রাস্তায় ডাবল ইয়েলো লাইন পর্যন্ত মানুষজন গাড়ি পার্ক করেছে। কারণ এতবেশি মানুষ এসেছিল যে, বেশ কয়েকটি কার পার্ক বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি অনেক ট্র্যাফিক ওয়ার্ডেনের কাছে জরিমানার টিকিটও শেষ হয়ে যায় বলে জানা গেছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা এক টুইটে বলেন, উলাকম্ব থেকে মোর্টহোয়ে পর্যন্ত প্রতিটি ডাবল ইয়েলো লাইন গাড়ি আর ভ্যানে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফুটপাত দিয়ে গাড়ি চলছিল, আর পথচারীরা রাস্তা পারাপার হওয়ার চেষ্টা করছিল। সব অপরাধ রেকর্ড করা হয়েছে এবং যথাযথ সময়ে সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
উলাকম্বের একজন বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী রিচার্ড ওয়ালডেন নিজের বাসা থেকে ট্র্যাফিকের এই অচলাবস্থার ছবি তুলেছেন। যতদূর পর্যন্ত দেখা যায়, গাড়ি আর গাড়ি দেখা যাচ্ছিল।
ওয়ালডেন বলেন, অবিশ্বাস্য পরিমাণ অবিবেচক মানুষ এখানে এসেছে। তারা অবৈধভাবে গাড়ি পার্ক করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এবং মানুষজনকে ফুটপাত দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তারা পুরো ফুটপাত বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স চাইলে এখান দিয়ে যেতে পারবে না। এটা পুরোপুরি অবিবেচক।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ডওমিটার। আর মৃত্যু হয়েছে ৩৫ হাজার ৭০৪ জনের, যা যুক্তরাষ্ট্রের পর একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ।