রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
Menu
Menu

ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ মাঝারি দল :রায়ান কুক

Facebook
Twitter

স্পোর্টস ডেস্ক।।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার গ্যারি কার্স্টেনের পরামর্শে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে রায়ান কুককে ফিল্ডিং কোচ নিয়োগ করেছিল বিসিবি। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তার অবস্থানের বয়স দুই বছর পূর্ণ হতে কয়েক মাস বাকি। করোনা ভাইরাসের সময়টাতে স্বদেশে অবস্থান করা কুক গতকাল বলেছেন, তার অধীনে টাইগারদের ফিল্ডিংয়ে কিছু উন্নতি এসেছে। তার মতে, ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ মাঝারি মানের দল।

ফিল্ডিং ইউনিট হিসেবে বাংলাদেশ দলের মূল্যায়ন করতে বলা হলে এই প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘বিশ্ব বিবেচনায় আমি বলবো বাংলাদেশ ফিল্ডিং ইউনিট হিসেবে মাঝামাঝি অবস্থানে আছে। খেলোয়াড়, কোচদের স্বপ্ন বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল হওয়ার। আমরা বুঝি, এখানে সময় লাগবে, কঠোর পরিশ্রম, খেলোয়াড়দের দায়বদ্ধতা লাগবে। নিশ্চিতভাবে খেলোয়াড়রা এটাকে গুরুত্বসহকারেই দেখছে।’

গত দুই বছরে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিংয়ে কোনো উন্নতি দেখেছেন কি না জানতে চাইলে কুক বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই কিছু উন্নতি দেখেছি এই সময়ে। খেলোয়াড়দের মানসিকতায় ধীরে ধীরে কিছু পরিবর্তন আসছে। খেলোয়াড়রা ভালো ফিল্ডার হতে চায় এবং কোচরা তাদেরকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। তরুণ খেলোয়াড়রা আসছে, তারা দারুণ স্কিল দেখাচ্ছে সম্প্রতি। আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলোতে ফোকাস করতে হবে। তবে কিছু উন্নতি অবশ্যই আছে।’

নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে প্রতি সিরিজের আগে এসেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করেন কুক। তাতে প্রত্যাশিত উন্নতি আসার কথা নয়। সেটা কুক নিজেও মানছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা হচ্ছি। প্রতি সিরিজের পরে আমরা পর্যালোচনা করি এবং কোথায় কাজ করতে হবে তা খেলোয়াড়দেরকে বলি। তারা কী ভালো করেছে এবং মধ্যবর্তী সময়ে কী ধরনের কাজ করা উচিত যাতে পরের সিরিজের আগে সে উন্নতি করতে পারে। আমরা সেটা করছি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা করি, যতটা সম্ভব তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে থাকি।’

বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলগুলোর কোচদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার ইচ্ছা রয়েছে কুকের। স্থানীয় কোচদের সঙ্গে আলাপ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত আছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচির কারণে তাদেরকে সময় দেওয়া হয় না। আমি কয়েকবার একাডেমি, এনসিএলের অনুশীলনে ছিলাম। দেখেছি, ঐ পর্যায়ে কি হয়, নিশ্চিতভাবেই মৌলিক দিকটা থাকে। যে কৌশল শেখানো হয় তাতে আমি আত্মবিশ্বাসী। স্পষ্টতই সেখানে উন্নতির সুযোগ আছে। খেলোয়াড়দের আরো ক্ষিপ্র করতে হবে।’

জনপ্রিয়