বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে, এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Facebook
Twitter

গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা।।
আমফানের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও ঝড়ো বৃষ্টি হচ্ছে, এর প্রভাবে সাগর ও নদী উত্তাল রয়েছে। প্লাবিত হয়েছে শত শত ঘরবাড়ী। বরগুনা শহরেও হাটুপানি। কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা পাকা ঘর ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।

ঘূর্ণিঝড় আমফান ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বরগুনা অতিক্রম করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) উপ-পরিচালক কিশোর কুমার সরদার।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরগুনায় বাতাসের গতিবেগ ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার রয়েছে। দমকা হাওয়াসহ ঝড়োবৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান বরগুনা অতিক্রম করছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির রোধে বরগুনায় আড়াই লাখ স্থানীয় অধিবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলার ৬১৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে এসব স্থানীয় অধিবাসীরা অবস্থান করছেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য জেলায় ৬১৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৯০ টি, আমতলী উপজেলায় ৯৭টি, পাথরঘাটা উপজেলায় ১০২টি, বেতাগী উপজেলায় ১১৪টি, বামনা উপজেলায় ৪৭টি এবং তালতলী উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৮টি আশয় কেন্দ্র।

এসব আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে সদর উপজেলায় আশয় নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৮২৯ জন স্থানীয় অধিবাসী। আমতলী উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৭০ জন স্থানীয় অধিবাসী। পাথরঘাটা উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন ৪১ হাজার ২০ জন অধিবাসী। এছাড়া বেতাগী উপজেলায় ৩৬ হাজার ৬০ জন স্থানীয় অধিবাসী আশ্রয় গ্রহণ করেছেন ।

বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত তালতলী উপজেলার ৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার স্থানীয় অধিবাসী আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও আমরা এখনো যারা আশ্রয় গ্রহণ করেননি তাদের খুঁজে বের করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা তালতলীতে সময় যত গড়াচ্ছে ততোই আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই এখনো আমরা সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত আড়াই লাখেরও বেশি অধিবাসীকে আমরা নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ঘূর্ণিঝড় আমফান প্রথম আঘাত হানা শুরু করে। ঘূর্ণিঝড় অমফানের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিনটি নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জনপ্রিয়