রূপালী ডেস্ক।।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বরিশালের কীর্তণখোলা ও বুড়িশ্বর নদীর পানি। এছাড়া অন্যান্য নদীর পানিও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বরিশাল নগরসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (২০ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের সহকারী প্রকৌশলী এ ই জাবেদ।
তিনি জানান, কীর্তণখোলা নদীতে পানির উচ্চতা ২ দশমিক ৫৭ মিটার বৃদ্ধি এবং বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর নদীর পানির উচ্চতা ২ দশমিক ৪৩ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুই নদীর পানি এরইমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২ ও ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি সকল নদীর পানির উচ্চতা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে জানা গেছে, কীর্তণখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর থেকে অতিক্রম করায় নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বরিশালে দুপুর থেকেই অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
বরিশালের পাশাপাশি পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বরগুনা জেলার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে যাচ্ছে।
অপরদিকে সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে গোটা বরিশাল বিভাগে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১০ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় ৪১৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার বাসুদেব কুমার দাস।