রূপালী ডেস্ক।।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৭৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪ জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১৪ হাজার ৮৬৯ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৩ হাজার ৮৪৭ জনকে, আর এর মধ্যে ১১ হাজার ৬শ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ১ হাজার ২২ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৭৯৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৭০৮ জন এবং এরই মধ্যে ৩৩৭ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। যার মধ্যে ৬ জন করোনা পজিটিভ ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৪২৫ জন, পটুয়াখালীতে ৬৫, ভোলায় ৫২, পিরোজপুরে ৭৮, বরগুনায় ৭১ ও ঝালকাঠিতে ৫৭ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে পুরো বিভাগে ১৫৯ জন সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরই মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজিটিভ ১৪ জনের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে ১ জন করে মোট ৪ জন, বরিশালের বাকেরগঞ্জে ১ জন ও মুলাদীতে ২জন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে মোট ২ জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঠালিয়াতে ১ জন করে মোট ২ জন, পিরোজপুরের নেছারাবাদ ও নাজিরপুরে ১ জন করে ২ জন এবং ভোলার লালমোহনে ১ জন রয়েছেন।