শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

বরিশাল বোর্ডে অকৃতকার্য ২৩ হাজার পরীক্ষার্থী

Facebook
Twitter

রূপালী ডেস্ক।।

স্কুল সার্টিফিকেট ও সমানের পরীক্ষার ফলাফলে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৭৯.৭০ শতাংশ থাকলেও শিক্ষার্থীদের বড়টি একটি অকৃতকার্য হওয়ার খবর রয়েছে। ৮৯ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষার্থী পাশের বিপরিতে ফেলের সংখ্যাটা ২৩ হাজারের কাছিকাছি। পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বিগত বছরের তুলনায় বাড়লেও ফেল সংখ্যাটা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ করা যেতে পারে- বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার একহাজার ৪৩২ টি স্কুলের এক লাখ ১৩ হাজার ২৯৫ শিক্ষার্থী এবছর এসএসসি পরীক্ষায় নিবন্ধন করে। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এক লাখ ১২ হাজার ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থী।

শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়- বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২০ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ১ লাখ ১২ হাজার ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলেও পাশ করেছে ৮৯ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষার্থী। বোর্ডে মোট পাশের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৪৮৩ জন পরীক্ষার্থী। যা গত বছরের চেয়ে বেশি। তবে বিস্ময় তৈরি হয়েছে ফেল করা ২২ হাজার ৮২০ পরীক্ষার্থীকে নিয়ে। অবশ্য এনিয়ে বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইনও আজ রোববার ফলাফল ঘোষণাকালে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণে জানা গেছে- বরিশাল জেলায় ৪১৬টি স্কুলের ৩৭ হাজার ৫৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পাশের ২৮ হাজার ৮৫২ এবং ফেল করেছে ৮ হাজার ৭৪৫ জন পরীক্ষার্থী। পটুয়াখালী জেলায় ২৫৭টি স্কুলের ২১ হাজার ৬৪১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৮ হাজার ৫ জন পাশ করলেও বিপরিতে ফেল করেছে ৩ হাজার ৬৩৬ জন পরীক্ষার্থী। বরগুনায় ১৫১ টি স্কুলের ১২ হাজার ১২৪ জনের অংশগ্রহণে পাশ করেছে ১০ হাজার ৮০ জন। এই জেলায় ফেলের সংখ্যা দুই হাজার ৪৪। পিরোজপুরে ২৪৪ টি স্কুলের ১৩ হাজার ২৫৯ জন পরীক্ষার্থীর ১১ হাজার ১৩৫ জন পাশ করেছে। এখানে ফেল করেছে দুই হাজার ১২৪ জন পরীক্ষার্থী।

ভোলা জেলায় ১৯৪ টি স্কুলের ১৭ হাজার ২৯৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে পাশ করেছে ১৩ হাজার ১৭৬ জন। এবং ফেল করেছে চার হাজার ১২০ জন পরীক্ষার্থী। অনুরুপ ঝালকাঠি জেলায় ১৭০ টি স্কুলের ১০ হাজার ৫১৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮ হাজার ৩৬৮। এই জেলাতে ফেল করেছে দুই হাজার ১৫১ জন পরীক্ষার্থী।’

জনপ্রিয়