এ.এফ.এম রিয়াজ, বাউফল।।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষে মেয়র সমর্থিত কর্মীদের হাতে নিহত হয় যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (২৯)। ওই ঘটনায় গত সোমবার (২৫ মে) রাত সারে দশটায় নিহত তাপসের বড় ভাই পংকজ দাস বাদী হয়ে বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামী এবং ৩৫জনের নাম উল্ল্যেখ করে ও অজ্ঞাত চার -পাঁচজনসহ মামলা দায়ের করেছেন। এ দিকে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সোমবার বিকালে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড থেকে মেয়র সমর্থিত সোহাগ (৩৫) ও কার্তিক (৩৫) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বাউফল থানা পুলিশ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৬ মে) বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের এবং মেয়র পক্ষই পৃথক পৃথক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
মেয়রের পক্ষ থেকে কমিশনার বাবুল খান দুপুর ১২টায় পৌর ভবনে সাংবাদিক সমম্মেলন করে মেয়র নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
অপর দিকে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার যুবলীগ কর্মী তাপস দাস হত্যাসহ আরো ১৫ কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে মেয়রের নির্দেশে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, জুয়েল মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পড়ে উপজেলার যুব সমাজের হাতে অস্র তুলে দিয়ে শান্ত বাউফলকে অশান্ত করে রেখেছেন। এ সময় উপস্থিত নিহত তাপসের বড় ভাই মামলার বাদি পংকজ দাস তার ভাইয়ের খুনের বিবরন দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
উল্ল্যেখ, বাউফল থানা ও জেলা পরিষদ বাংলোর সামনে তোরণ নির্মানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার দুপুরে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আ স ম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (২৯)কে ধারালো অস্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মেয়র সমর্থিত কর্মীরা। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫জন নেতা কর্মী আহত হয়। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামের আরেক যুবলীগ কর্মীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিনই রাত সাড়ে ৭টায় তাপসের মৃত্যু হয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার রাত সারে দশটায় তাপস হত্যা ঘটনায় পৌর মেয়র জুয়েলকে প্রধান আসামী করে ৩৫জনের নাম উল্লেখখ করে একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। যার মামলা নং-১৬। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।