আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
সদ্য বিয়ে হয়েছে। নতুন সংসার। অপরিচিতদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার গুরুদায়িত্ব তার কাঁধে। দিব্যি একটু একটু করে সেসব দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছিলেন তরুণী। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। বিয়ের তিনদিনের মাথায় জানা গেল নববধূ করোনা আক্রান্ত।
শ্বশুরবাড়িতে তার সংস্পর্শে আসা অন্তত ৩২ জনকে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে। লকডাউন শিথিল করে মাত্র ৫০ জন আমন্ত্রিত নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন কি আদৌ উচিত হচ্ছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ঘটনায় প্রশ্নটা উঠছেই।
বছর পঁচিশের ওই তরুণী ভোপালের জাটখেড়ির বাসিন্দা। সপ্তাহখানেক ধরে সামান্য অসুস্থতা ছিল তার। ঘনঘন আসছিল জ্বর। সর্দি-কাশিও ছিল তার। তা সত্ত্বেও চিকিৎসকের কাছে যাননি তিনি। অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ খেয়ে কোনওক্রমে কাজ চালাচ্ছিলেন। এভাবেই বিয়েও করেন তিনি।
তবে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে অসুস্থতা বাড়তে থাকে তার। তরুণীর নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। গত ১৬ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রিপোর্ট হাতে আসে। তাতেই জানা যায়, ওই তরুণী করোনা আক্রান্ত। স্বাস্থ্যকর্মীরা তড়িঘড়ি তাকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যান। তার সংস্পর্শে আসা ৩২ জনকে আপাতত কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই নববধূর সংস্পর্শে আর কেউ এসেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের আক্রান্তের হার যথেষ্ট। ইতোমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াইশো পেরিয়েছে। তা সত্ত্বেও লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে গত পনেরো দিনে কমপক্ষে ১০০টি বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। যদিও প্রত্যেকটি সামাজিক অনুষ্ঠানে মানা হয়েছে যথোপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি।
বর, কনে, তাদের আত্মীয় এবং আমন্ত্রিতরা পরেছেন মাস্ক। ব্যবহার করেছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিতে নজর ছিল অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের। তবে তা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণের মতো ঘটনাও ঘটল।
ভোপালের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে লকডাউন শিথিলতার সুযোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কি আদৌ বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ঠিক হচ্ছে। এভাবে কি সংক্রমণের আশঙ্কা আরও অনেকটাই বাড়ছে, প্রশ্নটা থেকেই যায়। সূএ-সংবাদ প্রতিদিন।