অনলাইন ডেস্ক।।
কুমিল্লার হোমনায় বোনকে উত্ত্যক্ত করায় ফয়সাল নামে এক যুবককে খুন করেছে ভাই শামীম। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার ও মরদেহ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় ওই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় মাটির নিচ থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফয়সাল একই উপজেলার দুলালপুর ইউপির রাজনগরের মকবুল হোসেনের ছেলে। এর আগে দুপুরে রাজধানীর চকবাজার থেকে হত্যাকারী শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, রাজনগরের ফয়সাল একই গ্রামের ফুল মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল ও উত্ত্যক্ত করছিল। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা না করায় তাকে মেনে নেয়নি ওই ছাত্রীর পরিবার। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
আরো জানা গেছে, বিরোধের মাঝেই ৫ জুন ফয়সাল নিখোঁজ হয়। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ৭ জুন হোমনা থানায় জিডি করে তার পরিবার। এ ঘটনায় ১৩ জুন মামলা হয়। পরে ছায়া তদন্তে নামে ডিবি পুলিশের এলআইসি টিম। মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর চকবাজার থেকে শামীমকে গ্রেফতারের পরই প্রকাশ্যে আসে ফয়সাল হত্যাকাণ্ড।
জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, ফয়সাল নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই ওই কলেজছাত্রীর ভাই শামীম নিখোঁজ ছিলেন। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। তার দেয়া তথ্যে হোমনার আমিরুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় মাটির নিচ থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ফজলুল করিম জানান, জিজ্ঞাসাব্দে শামীম জানিয়েছেন- ৫ জুন ফয়সালকে কৌশলে স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ছুরিকাঘাতে করেন। এরপর মাটিচাপা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
তিনি আরো জানান, বোনকে উত্ত্যক্ত করার কারণেই ফয়সালকে হত্যা করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন শামীম। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।