ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি।।
হঠাৎ করে করোনায় আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় ভান্ডারিয়া পৌর শহরকে রেড জোন ঘোষণা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লক ডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সোমবার (১৫ জুন) একদিনে পৌর শহরে চার পুলিশ সদস্য এবং এক সাংবাদিকসহ আরও ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলায় মোট ৩০ জন রোগী শনাক্ত হলো। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন ব্যক্তির মারা যাওয়ার ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তদের নির্দেশনা অনুয়ায়ি মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পৌর এলাকাকে রেড জোন ঘোষনা করেন বলে তিনি জানান।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকাল থেকে মাইকিং করে শহরের দোকান পাট বন্ধ করা হয় এবং জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়। অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ভান্ডারিয়া পৌরশহরের বাসিন্দা এবং মজিদা বেগম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ভান্ডারিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মো. ফারুকুজ্জামান মন্টু জমাদ্দার (৫৫) নিজ বাড়িতে মারা যান। এছাড়াও সবজি বিক্রেতা বারেক হাওলাদার (৬০) এবং গৌতম মন্ডল (৫০) নামের এক পান ব্যবসায়ীর মৃত্যুঘটেছে।
রোববার ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গৌতম মারা যান অপরদিকে একই রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণে বারেক হাওলাদার মারা যান। এ নিয়ে ভান্ডারিয়ায় উপজেলা এ পর্যন্ত মোট পাঁচজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন।