রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

ভান্ডারিয়ায় গিয়াস-সমির বাহিনীর তান্ডব: পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিধবা কমলার পরিবার

Facebook
Twitter

ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি।।
সারাদেশে চলছে ভয়ালো করোনা ভাইরাসের তান্ডব। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় যখন বিভোর বিধাব কমলা বেগম ঠিক এমন সময় জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র তার ৪ সন্তানকে কুপিয়ে যখম করেছে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালীরা। ঘটনার পর কিছুটা সুস্থ্য হয়ে ৭ দিন ধরে প্রতিপক্ষের হুমকি দামকির দাপট ও মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে তার সন্তানরা।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল বিকালে করোনা ভাইরাসের লকডাইন উপেক্ষা করে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত ফারুক সিকদারের স্ত্রী কমলা বেগম এর ভোগ দখলী জমির সিমানার পিলার- তারকাটার ভেড়া ভেঙে ও ফলদার গাছ কেটে জোড় পূর্বক অবৈধ ভাবে দখলে নেয়ার জন্য একই গ্রামের শাহজাহান খন্দকারের ছেলে গিয়াস (২৪) ও বেলায়েত চৌধরীর ছেলে এমাদুল হক সমির (৩৫) এর নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহীনি ধারালো দাও, শাবল -লোহার রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে দখল করতে গেলে খবর পেয়ে বিধবা কমলার চার ছেলে জাহিদ (৩৪), বাশার (২৮), ফয়সাল (৩২) ও ফরিদ সিকদার একে একে সেখানে ছুটে যায়।

গিয়াস-সমির বাহীনি তাদের এলোপাতালি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেও প্রতিপক্ষারা ক্ষান্ত হয়নি। তারা কমলা বেগম এর বসত ঘরে হামলা চালিয়। হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাপত্র ভেঙে চুড়ে স্বর্ণালংকার ,মটরসাইকেল (পিরোজপুর-হ-১১-৬২১৫) ও দুটি মোবাইল ফোনসহ মুল্যবান জিনিস পত্র প্রকাশ্যে লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত ৪ সহোদরকে প্রথম ভান্ডারিয়া হাসপাতালে নিয়ে এলে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্মরত ডাক্তাররা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করে। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ্য হলেও গিয়াস-সমির বাহীনির দাপটে ৪ সহোদয় বাড়ী ফিরতে পাড়ছেনা বলে আজ রবিবার কমলা বেগম এ প্রতিবেদককে জানান।

তিনি বলেন – তারা মামলা বা অভিযোগ থানায় দেয়ার আগ্ইে উল্ট তাকে জড়িয়ে ৭ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করে প্রভাবশালী গিয়াস-সমির বাহীনি এবং তার সন্তানরা বাড়ী আসলেই তাদের হাত- পা কাটবে বলে প্রতিপক্ষরা বারবার প্রান নাশের হুমকি দামকি দিচ্ছে এবং বাড়ী সামনে মহরা দিচ্ছে।

এ ঘটনায় বিচার ও ক্ষতিপুরণ চেয়ে কমলা বেগম গত ২৬ এপ্রিল সমির চেীধুরীকে প্রধান আসামী করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ভান্ডারিয়া থানার উপ- পরিদর্শক মো: মিজান জানান, কমলা বেগমের অভিযোগ তদন্ত করে মামলা নেয়া হয়েছে এবং মটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে এমাদুল হক সমিরের কাছে জানতে তার মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

জনপ্রিয়