রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
Menu
Menu

মঠবাড়িয়ায় স্বামীকে ১টি কিডনি দানকরা বিধবা ফেরদৌসী কোন ত্রাণের মুখ দেখেনি

Facebook
Twitter

মো.মনির আকন, মঠবাড়িয়া।।

বর্তমান করোনা ভাইরাস সংকটে ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ত্রাণের ছড়াছড়ি গেলেও একটি কিডনি নিয়ে সংসারের ঘানিটানা বিধবা ফেরদৌসী বেগম(৪২) আজ পর্যন্ত কোন ত্রাণের মুখ দেখেনি।পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালী বাজার সংলগ্ন টিনেরজীর্ণ কুটিরে ২ ছেলে নিয়ে ফেদৌসীর সংসার।

ফেরদৌসীর স্বামী মোঃজাফর খাঁ মিরুখালী ইউনিয়নের ছোটহারজী গ্রামের মোঃ আমজেদ খাঁর ছেলে। জাফর মিরুখালী বাজারে পরাটা, সিংগারা ও পুরিবিক্রি করে সংসার চালাত। ২০১২ সালে জাফর অসুস্থ হলে ধরা পরে তার ২টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। দারিদ্রতার কষা ঘাতে জর্জড়িত জাফর কোথায় পাবে কিডনি সংগ্রহের টাকা। স্বামীকেবাচাঁবারজন্যস্ত্রী ফেরদৌসী নিজের জীবন বাজী রেখে ১টি কিডনি দানকরে।তারপরও ফেরদৌসীর শেষ রক্ষাহয়নি। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেসন্তান সম্ভাবা স্ত্রী এবং ২ সন্তান রেখে জাফর চলে যায় পরপারে। স্বামীর মৃত্যুর ৬ মাস পর জন্ম নেয় ছোট ছেলে।

স্বামীর রেখে যাওয়া সাড়ে ৬ শতক জমিতে ছাপড়া ঘরে ৩ সন্তান নিয়ে শুরু হয় ফেরদৌসীর জীবন সংগ্রাম। সম্বল বলতে একটি সেলাই মেশিন। জামা-কাপড় সেলাই করে মাসে আয় দেড় থেকে ২ হাজার টাকা এবং আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য ছাড়া আর কোন আয় নাই।রড় মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর এখন তাদের ৩ জনের সংসার।

ফেরদৌসীর একটি কিডনি তাই প্রতিবছর একবার ঢাকা গিয়ে চেক আপে ১০/১২ টাকা খরচ হয়। তারপর নিয়মিত চিকিৎসা খরচ ও ২ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন ভাবে চলে তার সংসার।

অসহায় ফেরদৌসীর খবর পেয়ে এই প্রতিনিধিসহ“জেনিচেরি কমিউনিটির”সদস্যরা বৃহষ্পতিবার সকালে ইফতার সহায়তা নিয়ে হাজির হয় তার ঘরে। ইফতার সহায়তা পেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানিয়ে ফেরদৌসী জানান করোনায় এই ইফতার ছাড়া আর কিছুই সে পায়নি। আজপর্যন্ত কেউ তাদের খবরও নেয়নি। ফেরদৌসী জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিধবা ভাতা ছাড়া আর কিছুই সে পায়না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি জানার পর বিধবা ফেরদৌসীর নাম তালিকাভূক্ত করেছি। এরপর কোন সহায়তা আসলে তাকে দেয়া হবে। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগত ভাবেও ওই পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেবেন বলে জানান।

জনপ্রিয়