রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

মাত্র হাঁটতে শিখেছিল, কী দোষ ছিল আরাফের?

Facebook
Twitter

অনলাইন ডেস্ক।।
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় নিখোঁজের তিন ঘণ্টা পর একটি বহুতল ভবনের পানির ট্যাংক থেকে আরাফ নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (০৭ জুন) রাতে বাকলিয়া থানার মিয়াখান নগরের মনসুর আলী রোডের নুরুল আলম মিয়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশু আবদুর রহমান আরাফ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউপির তারালিয়া গ্রামের মোহাম্মদ কাইয়ুমের ছেলে। কাইয়ুম চট্টগ্রামে অপসোনিন ফার্মায় সিনিয়র মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। ছয় মাস ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মিয়াখান নগরের ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি।

আবদুল কাইয়ুম জানান, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় আমার স্ত্রী কল করে জানায় আরাফকে পাওয়া যাচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গে আমি বাসায় গিয়ে আশপাশে খোঁজ করি। কোনো সন্ধান না পেয়ে মাইকিং করি। রাত সাড়ে ৮টায় বাকলিয়া থানায় জিডি করে বের হওয়ার পর অচেনা একটি নম্বর থেকে কল করে আমাকে জানায় বাড়ির ছাদের পানির ট্যাংকে আরাফের লাশ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, আমি এ এলাকায় ভাড়া থাকি। এখানে কারো সঙ্গে আমার তেমন পরিচয় নেই। আমার ছেলের কী দোষ ছিল? ছেলেটা মাত্র হাঁটতে শিখেছিল, এক পা-দু পা হাঁটতে পারতো। তার তো কোনো শত্রু নেই। কারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করল?

কাইয়ুম আরো বলেন, ওই বাড়ির ছাদে উঠতে হলে তিনটি গেট খুলতে হয়। গেটগুলো তালা দেয়া থাকে। বাড়ির মালিক ও কর্মচারী ছাড়া কারো কাছে চাবি থাকার কথা না। তাহলে আমার ছেলের লাশ ছাদে গেল কী করে?

বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, নুরুল আলম মিয়ার বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জনপ্রিয়