বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
Menu
Menu

মাদারীপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তার মৃত্যু

Facebook
Twitter

আরিফুর রহমান, মাদারীপুর।।
মাদারীপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সুমন (৩৫)। রবিবার (০৭ জুন) রাতে শহরের ডনোভান স্কুল সংলগ্ন শশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় মারা যান। সোমবার বাদ জোহর তাকে শহরের পানিছত্র এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের পানিছত্র আল-জাবির হাই স্কুল সংলগ্ন আবুল হোসেন আকনের ছেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সুমন করোনা উপসর্গ থাকায় কয়েকদিন পূর্বে শহরের ডনোভান স্কুল সংলগ্ন শশুর বাড়িতে আসেন। সুমন সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষক খলিলুর রহমান এর জামাতা। রবিবার সকালে সদর হাসপাতালে এসে করোনার টেস্ট দিয়ে যান এবং রাতে শশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় মারা যান।

সুমন এর শশুর সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, “গত ২৪ মার্চের পরে সুমন আমার বাসায় চলে আসে। সে থেকে পুরো সময়টা আমার বাসায় ছিল। সুমন কখনো বাসা থেকে বের হতো না। রবিবার সকালে সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট দিয়ে আসি এবং সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পুনরায় নিয়ে যাই। কিন্তু সে হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। বাসায় চলে আসে। রাতে শাসকষ্ট উঠলে সুমনকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাসায় এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসি কিন্তু এ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর মত সময় পাইনি। রাত ১০টার দিকে বাসায় মারা যায়।”

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. অখিল সরকার বলেন, “রবিবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সুমন নিজে সদর হাসপাতালে এসে করোনার টেস্ট দিয়ে যান। রাতে শুনি সে মারা গেছে।”

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, “শহরের পানিছত্র এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক সরকারি কর্মকর্তা মারা গেছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা তার জানাজা নামাজের সময় উপস্থিত ছিল।”

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি তার শশুর বাড়িতে মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিবারের কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেনি। কেন হাসপাতালে নিয়ে আসেনি তা আমি জানিনা। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির করোনা হয়েছিল কি না তা জানার জন্য শরীরের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রিয়