রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী॥
করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশে গোটা দেশ লক-ডাউন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এই সংকটময় মূহুর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার মানুষের পাশে থেকে দিনরাত ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছা. খালেদা খাতুন রেখা।
এ যেন প্রতিনিয়ত করোনার সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তিনি।তিনি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, অসহায় মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো, দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবিধি ও আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, ডিজিটাল তথ্য সেবার মাধ্যমে এ উপজেলার জনগণকে সেবা গ্রহীতাকে সঠিক সময় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো, মানুষকে ঘরে ফেরাসহ অন্যান্য মানবিক কাজে নিজেকে সার্বক্ষনিক দায়িত্বে নিয়োজিত রেখেছেন। তাঁর সততা ও সার্বিক কার্যক্রমে ইতিমধ্যে উপজেলাবাসী তাকে মানবতার মা, মমতাময়ী মা, মাদার তেরেসা সহ বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করেছেন।
কাউখালী উপজেলার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের অর্পিত দায়িত্ব বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দিনরাত মাঠে থাকছেন। লক ডাউনের শুরু থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রুটিন মাফিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছেন।
এ বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজ, মানবাধিকার কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারন ইউএনও মহোদয় কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত জনবান্ধব, সৎ, কর্তব্যপরায়ন, মেধাবী ও সাহসীকতার স্বাক্ষর রাখছেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন রেখা বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। উপজেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করছি। তবে সকলের প্রতি আমার অনুরোধ এ মহামারীতে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হবেন না।